শিরোনাম
  • এসএসসি পরীক্ষার নাম বদলে হবে কী হবে, জানা যাবে কখন দশ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যেই: প্রতিমন্ত্রী ভিকারুননিসায় অবৈধভাবে ৩৬ ছাত্রী ভর্তি, তদন্ত করে মিলেছে প্রাথমিক সত্যতাও কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার কবে, জানা যাবে ২ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, যেভাবে জানা যাবে দায়িত্ব নিয়েই যা বললেন বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতি মূল্যায়ন, মিড ডে মিল চালুর সুপারিশ করেছে গণস্বাক্ষরতা অভিযান এইচএসসি পরীক্ষার সংশোধিত কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হলো আজ থেকে এক লাখ শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি চলতি মাসেই
  • বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) এই শিখন ঘাটতি নিরূপণ করে

    শিক্ষার্থীর শিখন ঘাটতি ৯০ শতাংশ  !

    করোনার অতিমারিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শিক্ষায়।  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ ।  তাই সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে তৈরি হয়েছে শিখন ঘাটতি। তাদের বেশির ভাগই গ্রাম, চর ও পাহাড়সহ দুর্গম অঞ্চলের। আর যে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঘাটতিমুক্ত রয়েছে তারা শহর অঞ্চলের। মূলত টেলিভিশন ও অনলাইনে পাঠদানে যুক্ত হতে না পারায় তারা ঠিক মতো শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেনি। এ কারণে এই শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

    তবে বাড়তি যত্নে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের ঘাটতি কাটানো সম্ভব। এ জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অতিরিক্ত ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, টেলিভিশনে পাঠদান এবং ইউটিউব ও অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক ক্লাস আপলোড করার সুপারিশ করেছে।
    বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) এই শিখন ঘাটতি নিরূপণ করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।  
    বেডুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত বিষয়ে ৬৯ শতাংশের বিভিন্ন মাত্রায় শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া বাংলায় ৮০ শতাংশ আর ইংরেজিতে ৭৬ শতাংশের ঘাটতি তৈরি হয়। এবার নবম শ্রেণিতে ও আগামী বছর দশম শ্রেণিতে অতিরিক্ত ক্লাস আর বিশেষ অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদের এই ঘাটতি পূরণ করা হবে।
    অন্যদিকে, ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু বেডু এ নিয়ে গবেষণা করেনি। এ কারণে এনসিটিবি চায় ‘ডায়াগনস্টিক টেস্ট’ এর মাধ্যমে বর্তমানে অধ্যয়নরত সপ্তম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঘাটতি নির্ণয় করতে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এটি বের করার সুপারিশ আছে সংস্থাটির প্রতিবেদনে।
    তারা কেবল অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর গবেষণাটি করেছে। তবে  অষ্টম শ্রেণির পাশাপাশি অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে পরিকল্পনা ও সুপারিশ  করেছে এনসিটিবি।