গোল্ডেন মনিরের বাবার নাম সিরাজ মিয়া রাজাকার। তার নামে রয়েছে বাড্ডা প্রগতি সরণিতে সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল স্কুল।
গোল্ডেন মনিরের এত দুর্নীতির কারনে এলাকাবাসী তার বাবার নামেও স্কুলের নাম রাখতে চাইছেন না।
এ কারণে নামকরণ বাতিলের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। তারা বলেন, তার নামে স্কুল থাকতে পারেন না। এ নাম পরিবর্তনের দাবিতে এলাকাবাসী রোববার মানববন্ধন করেছেন। এতে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, রাজউকের জমিতে নির্মিত স্কুলটিকে গোল্ডেন মনির প্রাইভেট শিক্ষাবাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এগুলো বন্ধের দাবি জানান তারা।
তারা আরো বলেনম, মেরুল বাড্ডা দক্ষিণ বারিধারা আবাসিক পুনর্বাসন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জনস্বার্থে একটি মসজিদ, একটি স্কুল, একটি কলেজ ও একটি খেলার মাঠের জন্য রাজউক জমি বরাদ্দ দেয়। কিন্তু গোল্ডেন মনির রাজউকের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে নামমাত্র মূল্যে বরাদ্দ নেয়। প্লটটিতে এলাকার ছেলেমেয়েদের স্বল্প খরচে পড়াশোনার সুযোগ করে দেয়ার কথা থাকলেও গোল্ডেন মনির একক মালিকানাধীন একটি বেসরকারি স্কুল স্থাপন করে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বছর ভর্তির সময় মোটা অঙ্কের টাকা এবং মাসিক বেতন হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে।
সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল স্কুলের নাম পরিবর্তন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব হামিদ আহমেদ বলেন, সরকারি নিয়ম-নীতি না মেনে গোল্ডেন মনির স্কুলটিকে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। রাজউক থেকে নামমাত্র টাকায় জমি বরাদ্দ নিয়ে সেখানে তার পিতা কুখ্যাত রাজাকার সিরাজের নাম ব্যবহার করে। এটা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। রাজাকারের নাম বাদ দিয়ে অন্য নাম দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত আবেদন করা হয় ২০০৯ সালে। দীর্ঘ ১১ বছরেও এর কোনো সমাধান হয়নি।
তিনি বলেন, স্কুলের জমিটি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, ভাষাসৈনিক, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কারও নামে বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২১ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র্যাব। ২২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন।