সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষককে করোনা টিকা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে এ নির্দেশনা মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এলে সব বিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। বর্তমানে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের টিকাগ্রহণ করতে হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষকদের টিকা প্রদানে নামের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ পর থেকে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। সব শিক্ষক-কর্মকর্তারা নির্ধারিত টিকা প্রদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে টিকাগ্রহণ করবেন।
আরও বলা হয়, প্রতিদিন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কতজন টিকাগ্রহণ করছেন তার বিস্তারিত তথ্য নিয়মিত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ডিপিইতে পাঠাবেন। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে টিকা প্রদান কার্যক্রমে তথ্য ডিপিইতে সংরক্ষণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে ডিপিই’র মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে সব শিক্ষককে টিকা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। এ কারণে সবাইকে বাধ্যতামূলক টিকাগ্রহণে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কারা টিকা নিচ্ছে, কারা নিচ্ছে না, টিকা নেয়ার পর শিক্ষকদের কি অবস্থা এসব বিষয় জানতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে আগামী সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি মঙ্গলবার সচিবালয় ক্লিনিকে টিকাগ্রহণ করার পর এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস টিকায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমি শতভাগ সুস্থ আছি। টিকা নিয়ে আতঙ্ক কেটে গেছে, সবাইকে টিকা কেন্দ্রে এসে টিকাগ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ এখনও টিকা নিতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্য ও সেরা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন এনে জনগণকে রক্ষা করতে সক্ষম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
পরে বিকেলে ডিপিই থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক টিকা নিতে সব জেলায় নির্দেশনা পাঠানো হয়।