শিরোনাম
  • প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধবপুরের এক কলেজে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা 'সম্পূর্ণ নিষেধ' করে আদেশ জারি  ৪১তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ৩১৬৪ জন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রশ্নপত্র চূড়ান্তকারী কর্মকর্তা, মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে থাকবে না রাজনৈতিক ব্যক্তি চলতি বছর চার শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন কারিকুলাম, কতটা প্রস্তুত শিক্ষকরা? সিইসিকে দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ এর প্রথম ধাপের পরীক্ষার্থীদের আবেদনে যা আছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ফোর্বসের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা,শীর্ষে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন ঢাবি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে হাইকোর্টের রায়
    • কলেজ
    • আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সরকারি করার দাবি

    আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সরকারি করার দাবি

    শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করলেও সম্মানী নিয়েছে গভর্নিং বডি

    অভিভাবক ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউল কবির দুলু  রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ সরকারির করার দাবি জানিয়েছেন।

    এছাড়া  তিনি  বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটিতে দুর্নীতি ও শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য ঠেকাতে নতুন গভর্নিং বডি গঠন করতে হবে। কমিটির মেয়াদ শেষে সে কারণে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার।  প্রতিষ্ঠানটিতে লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। কিন্তু বিগত ২০১১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে কারণে দ্রুত প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে পুর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে জাতীয়করণ করা দরকার। 
    গত সপ্তাহে  পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ) মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে   একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে গভর্নিং বডি, অধ্যক্ষের নানা দুর্নীতি চিত্র উঠে আসে। কোটি টাকার দুর্নীতির চিত্র দেখা যায় ওই প্রতিবেদনে।
    অভিভাবকদের অভিযোগ, গভর্নিং বডিই দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করছেন এবং গভর্নিং ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সরাসরি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। কোটি কোটি টাকা পাবলিক মানি তছরূপ হচ্ছে অথচ দোষীদের শাস্তি দেওয়া যাচ্ছে না। 
    প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। চার শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অবৈধভাবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ উত্তোলন করেছেন। অনেক শিক্ষকের সনদ জাল ধরা পড়েছে ডিআইএ এর পরিদর্শন প্রতিবেদনে। অধ্যক্ষ নিজে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বসবাস করে বাড়িভাড়া নিয়েছেন। অন্যদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হওয়ার কারণে সরকারি বাড়িভাড়াও নিয়েছেন। দায়িত্বভাতার নামে লুটপাট করেছেন কোটি টাকা। 
    গভর্নিং বডির দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে নতুন গভর্নিং বডি গঠনেরও সুপারিশ করা হয়। বর্তমান গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৯ নভেম্বর। শিক্ষার মানোন্নয়নে গভর্নিং বডি কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা পরিলক্ষিত হয়নি। বরং পরিচালনা কমিটির কার্যক্রমে বিভিন্ন বেআইনি বিধিবহির্ভূত, অনৈতিক এবং আর্থিক অনিয়মের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। 
    ডিআইএ এর প্রতিবেদন দেখা গেছে, গভর্নিং বডির সভায় সদস্যদের সিটিং অ্যালাউন্স (সম্মানী) দেওয়া হয়। বিরাট অঙ্কের আপ্যায়ন গ্রহণ, কন্টিজেন্সি, গভর্নিং বডির সদস্যদের ব্লেজার গ্রহণ ও সম্মানী গ্রহণ করা হয়েছে। গভর্নিং বডির সদস্যরা প্রতিটি শাখা, প্রতিটি ব্রাঞ্চ থেকে এ ধরনের খরচ নিয়েছেন, যা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বেড়েছে। ব্লেজার কেনার জন্য সভাপতি ও সদস্যরা সম্মানী নিয়েছেন ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮২ টাকা। শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করলেও সম্মানী নিয়েছে গভর্নিং বডি। গভর্নিং বডির দুর্নীতির কারণে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও তছরুপ হয়েছে প্রতিষ্ঠানের। আর এইসব টাকার যোগান এসেছে টিউশন ফি বাড়িয়ে দিয়ে। 

    অভিভাবকরা মনে করেন, একমাত্র সরকারি করার মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষা করা যায়।