শিরোনাম
  • প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধবপুরের এক কলেজে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা 'সম্পূর্ণ নিষেধ' করে আদেশ জারি  ৪১তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ৩১৬৪ জন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রশ্নপত্র চূড়ান্তকারী কর্মকর্তা, মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে থাকবে না রাজনৈতিক ব্যক্তি চলতি বছর চার শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন কারিকুলাম, কতটা প্রস্তুত শিক্ষকরা? সিইসিকে দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ এর প্রথম ধাপের পরীক্ষার্থীদের আবেদনে যা আছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ফোর্বসের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা,শীর্ষে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন ঢাবি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে হাইকোর্টের রায়
    • সংগঠন খবর
    • শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু সংসদ সদস্য নির্বাচিত

    শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু সংসদ সদস্য নির্বাচিত

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।তিনি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কল্যান ট্রাস্টের সচি্বের দায়িত্বে ছিলেন।  

    এর আগে আওয়ামীলীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

    এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসনটি শুন্য ঘোষনা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৫ নভেম্বর এই আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামীলীগ। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জাতীয় পার্টির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন পান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার জামাতা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। শ্বশুর-জামাতার দ্বন্দ্বে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা বিজয়ী হন।

    গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সংসদ সদস্যগন জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষনা দিলে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচন আওয়ামী লীগের সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। বিষয়টি দেশজুড়ে তখন আলোচনা সৃষ্টি হয়।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দখলে। সর্বশেষ ১৯৭৩ সালের পর কোন নির্বাচনে এই আসনে জিততে পারেনি আওয়ামীলীগ। এছাড়াও সরাইল ও আশুগঞ্জ দুই উপজেলাতেই রয়েছে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল। দুই উপজেলাতেই আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি নেই।

    উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ১৬জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে প্রয়াত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষারও ছিলেন। তাকে ঘিরেও ছিলো বেশ আলোচনা।