ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।তিনি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কল্যান ট্রাস্টের সচি্বের দায়িত্বে ছিলেন।
এর আগে আওয়ামীলীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসনটি শুন্য ঘোষনা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৫ নভেম্বর এই আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামীলীগ। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জাতীয় পার্টির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন পান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার জামাতা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। শ্বশুর-জামাতার দ্বন্দ্বে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা বিজয়ী হন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সংসদ সদস্যগন জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষনা দিলে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচন আওয়ামী লীগের সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। বিষয়টি দেশজুড়ে তখন আলোচনা সৃষ্টি হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দখলে। সর্বশেষ ১৯৭৩ সালের পর কোন নির্বাচনে এই আসনে জিততে পারেনি আওয়ামীলীগ। এছাড়াও সরাইল ও আশুগঞ্জ দুই উপজেলাতেই রয়েছে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল। দুই উপজেলাতেই আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি নেই।
উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ১৬জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে প্রয়াত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষারও ছিলেন। তাকে ঘিরেও ছিলো বেশ আলোচনা।