‘বিতর্কিত’ গভর্নিং বডির বিদায় সংবর্ধনা বাতিল চান আইডিয়ালের অভিভাবকরা। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘বিতর্কিত’ গভর্নিং বডির বিদায় সংবর্ধনা বাতিল চান অভিভাবকরা। একই সঙ্গে এ গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামানের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম দেওয়ানের সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। ফোরামের সভাপতি ফাহিম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম আলী এ দাবি জানান। এতে বলা হয়, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে অবৈধ ভর্তি ও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যসহ শত শত কোটি টাকার লুটপাট, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও নির্লজ্জভাবে তারা নিজেদের নানামুখী দুর্নীতি আর অপকর্ম ঢাকতে সাধুবেশে নিজেদের ঢোল নিজেরাই পেটাচ্ছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তথাকথিত ‘উন্নয়ন অগ্রগতি ২০১৭-২৩’ নামে বর্তমান সভাপতির ব্যক্তিপূজা ও পরিচালনা পর্ষদের বিশাল বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এরমধ্য দিয়ে আবারও খরচের বাহানা বানাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ এ অপকমিটি। শত শত কোটি টাকার লুটপাটকে বৈধতা দিতে ১৮ নভেম্বর বিদায়ী অনুষ্ঠানের বিশাল আয়োজন করেছে। ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম’-এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে এ অনুষ্ঠান বাতিল করার দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি কমিটির সভাপতিকে অপসারণ করার নির্দেশনা দিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।’
অভিভাবক ফোরামের নেতারা আরও বলেন, ‘দেশের কোনো বেসরকারি স্কুল-কলেজে গভর্নিং বডির বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় না। ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফির টাকায় চলে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ স্কুলের গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি ২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কমিটিতে থেকে গত ৭ বছরে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিভিন্ন খাত সৃষ্টি করেছেন। তার লুটপাটের তথ্য ডিআইএর রিপোর্টে ফুটে উঠেছে।’ তারা আরও বলেন, বর্তমান সভাপতি শিক্ষার মানোন্নয়নে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন, সভাপতিকে অপসারণ এবং পরবর্তী গভর্নিং বডিতে বর্তমান সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা যাতে পুনরায় দায়িত্বে আসতে না পারেন বা নির্বাচন করতে না পারেন, তার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।