এনটিআরসিএর আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা কাটিয়ে স্বচ্ছতা ও সহজীকরণে জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি বিদ্যালয়) ফৌজিয়া জাফরীন বলেন, এনটিএসসির জন্য একটি খসড়া আইন তৈরি করতে এনটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেটি এ মাসের মধ্যে পাঠানোর কথা রয়েছে। সেটি পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্য অনুযায়ী, নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। বর্তমান নাম পরিবর্তন করে বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন (এনটিএসসি) গড়ে তোলা হবে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আদলে এটি গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে। এনটিআরসিএ’র নিবন্ধনের লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের একটি জাতীয় মেধাতালিকা রয়েছে। সারাদেশের শিক্ষক শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। জাতীয় মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীরা নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারেন। মেধাক্রম অনুযায়ী এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে।
এনটিআরসিএ’র সব কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমান জনবল দিয়ে বিশাল সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষা, শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ ও নিয়োগের সুপারিশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ওপর যারা শূন্যপদের তালিকা দিচ্ছেন তারা নানা ধরনের ভুল চাহিদা দিচ্ছেন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার আমাদের সুপারিশ করা প্রার্থীদের যোগদান করতে দিচ্ছে না
এ প্রতিষ্ঠানের কাজের জটিলতা কাটাতে পিএসসি’র আদলে বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন (এনটিএসসি) রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বর্তমান কাঠামোর আদলেই জনপ্রশাসনের একজন অতিরিক্ত সচিবকে চেয়ারম্যান ও পাঁচজন যুগ্ম সচিবকে সদস্য করে এনটিএসসি গঠিত হবে। এ কমিশন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে তাদের চাকরির সুপারিশ করবে। সে ক্ষেত্রে আর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না। সারাদেশ থেকে শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করবে এনটিএসসি। যোগ্য প্রার্থীদের শূন্য আসনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে।