শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক বলে জানিয়েছেন একবছরে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বৃত্তি দেওয়া হবে ।
তিনি বলেছেন, ২০ লাখ ছাত্র ও ৩০ লাখ ছাত্রী এই বৃত্তির টাকা পাবে। এটাকে আমরা বিনিয়োগ হিসেবে দেখছি।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক পাস ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি এবং ভর্তি সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২১-২২ অর্থবছরে মাধ্যমিক পর্যায়ের চল্লিশ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭৪ কোটি সাত লাখ ২০ হাজার টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮ লাখ ৮২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি ও স্নাতক পর্যায়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৩ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতে ৫০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হবে।
এই টাকা মোবাইল ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তিনি কোভিড পজিটিভ হওয়ায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
শিক্ষা সচিব বলেন, করোনার কারণে আমাদের শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে ৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে করোনায় শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের কাজ করা হবে। মেধা থাকলে কোনো শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না, সরকার এটা নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জানি না করোনাকালে কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। যখন আমরা কোভিড ঝুঁকি থেকে বের হচ্ছিলাম ঠিক তখনই দেশে বন্যা এলো। আমরা অবশ্যই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করবো। আমরা এরই মধ্যে বন্যা কবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছি।
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়। এই ট্রাস্ট থেকে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা দেওয়া হয়।
