• মেডিকেল
  • যারা প্রশ্ন তৈরিতে সহায়তা করেছে পরদিন তারাই ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে

যারা প্রশ্ন তৈরিতে সহায়তা করেছে পরদিন তারাই ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে

ঘটনাটি অবাস্তব হলেও বাস্তব। যারা পরীক্ষার্থী, তারাই প্রশ্নপত্র তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন। তারাই ওই প্রশ্নের আলোকে পরীক্ষা দিয়েছেন।  আবার পাসও করেছেন। এমন অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সারাবাংলা ডট নেট এমনই একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে।

গত ২৭ মে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের আটটি পদে ১৫ জনের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠেছে, তিন জন নিয়োগপ্রার্থী বর্তমান মেডিকেল কলেজে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কম্পিউটার কাম অফিস সহকারী পদে কাজ করছেন। এদের মধ্যে দুই পুরুষ প্রার্থী পরীক্ষার আগের দিন রাতে এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে সেগুলো প্যাকেট করা পর্যন্ত তারা নিয়োজিত ছিলেন। অভিযোগ, সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ দেলদার হোসেন জেনেশুনেই তাদের এই নিয়োগ পরীক্ষার কাজে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। যা তাদের পরীক্ষায় পাস করানোর দুরভিসন্ধির বহিঃপ্রকাশ।’

অভিযোগ রয়েছে- মশিউর রহমান ও মাজহারুল ইসলাম নামের দুই পরীক্ষার্থী আগের রাতে প্রশ্নপত্র তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন। ফলে ওই সময়ই তারা পরীক্ষার প্রশ্ন পেয়ে যান। এর পর দিন হলে গিয়ে পরীক্ষা দেন এবং যথারীতি পাস করেন। এছাড়া পরীক্ষায় অংশ নেননি এমন আরও কয়েক জনের নামও না কি রেজাল্ট শিটে এসেছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজসহ আশেপাশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, মশিউর রহমান, মাজহারুল ইসলাম ও পপি খাতুন এই তিন জন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাস্টার রোলে চাকরি করেন। নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট শিটে অন্যান্যের সঙ্গে তাদের নামও এসেছে। এই তিন জনের নিয়োগ নিশ্চিত করতেই প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়া এবং হলে উত্তর লেখায় সহযোগিতার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের।

দেখা গেছে, প্রশ্নপত্র তৈরির সময় উপস্থিত ওই দুই পরীক্ষার্থী পরের দিন সকালে সেই প্রশ্নপত্র নিয়ে অধ্যক্ষর সঙ্গে পরীক্ষার হলে যান। এ সংক্রান্ত দুটি ভিডিও ফুটেজ সারাবাংলার হাতে এসেছে। তবে ওই ফুটেজে আরেক অভিযুক্ত পপি খাতুন ছিলেন না। পপি খাতুনকে পরীক্ষার হলে একজন নারী ডাক্তার উত্তর লিখতে সহযোগিতা করেছেন বলে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন।

 

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের একজন কর্মচারী বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের মূল ভবনে ক্যাম্পাস স্থানান্তরের ফলে দাফতরিক বিভিন্ন কাজের জন্য লোকবল প্রয়োজন হয়। ফলে আটটি পদের জন্য ১৫ জনের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক শুক্রবার (২৭ মে) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া শহরের সরকারি মহিলা কলেজ ও কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অন্য পদের পরীক্ষাগুলো হয়।’