সংগঠন খবর

সাদিক কায়েম
“নতুন বাংলাদেশে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির রাজনীতি চলবে না”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি ও ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবু সাদিক (কায়েম) বলেছেন, নতুন বাংলাদেশে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির রাজনীতি থাকবে না। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের উৎসব’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব প্রিয়সিন্ধু তালুকদার, ম্যানেজমেন্ট এফবিএস ক্লাব লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউল বিল্লাহ। অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। সাদিক কায়েম বলেন, “আমরা স্মরণ করছি জুলাই শহীদ ও আজাদী আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ, যার মাধ্যমে আজকে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। জুলাই বিপ্লব দেখিয়েছে যে, তরুণরাই বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। আমাদের তরুণদেরকে দেশের নেতৃত্বে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করে, আমাদেরও তেমন প্রস্তুতি নিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশে মাসল পলিসি, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক কাউকে প্রোগ্রামে নেওয়া বা অধিকার হরণ কোনো রাজনীতি থাকবে না। ছাত্র রাজনীতি হবে ওয়েলফেয়ার সেন্ট্রিক এবং পলিসি সেন্ট্রিক। ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের আইডিয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে যাবে, এবং জনগণ ও শিক্ষার্থীরা সেগুলো গ্রহণ বা সমালোচনা করবে।” সাদিক কায়েমের ভাষ্য, “আমরা স্বপ্ন দেখি এমন ক্যাম্পাসের, যেখানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, গবেষণা, আবাসন, স্বাস্থ্য ও খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে এবং নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের নেতৃত্ব প্রয়োজন, যারা পেট্রিয়টিক লিডারশিপের মাধ্যমে শহীদ আকাঙ্ক্ষার আলোকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এই তারুণ্যের উৎসব শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, সারা দেশের তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে এবং আমরা একসাথে স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।”

Education Bangla নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত ও বিধিবহির্ভূত আদেশের কারণে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ৩২তম থেকে ৩৭তম বিসিএস ব্যাচের কয়েক হাজার পদোন্নতিপ্রত্যাশী মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও দেখার কেউ নেই। কারও কারও একই পদে চাকরির বয়স ১২ বছর পার হয়ে গেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষা, অনিশ্চয়তা ও বৈষম্যের কারণে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি। জানা গেছে, চলতি বছরের জুন ও নভেম্বর মাসে দুই দফায় একাধিক ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটি (ডিপিসি) সভা হয়েছে। কিন্তু ‘মামলার জটিলতা’ অজুহাত দেখিয়ে মন্ত্রণালয় পদোন্নতির আদেশ জারি করছে না। আদালত পদোন্নতি স্থগিতের কোনো নির্দেশ দেননি। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, ২০০০ সালে প্রণীত বিতর্কিত বিধিমালা ৬(৫) অনুযায়ী আত্তীকৃত শিক্ষকরা সমস্ত যোগ্যতা অর্জনের পর ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের সুযোগ পান। কিন্তু ২০২৪ সালে কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তার অবৈধ পদক্ষেপে ৫৪টি আদেশ জারি হয়ে প্রায় দুই হাজার আত্তীকৃত শিক্ষকের সুযোগ সীমিত হয়েছে। এরপর থেকে পদোন্নতির জন্য আবেদন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি ১৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রথম দফায় ৪ জুন ডিপিসি বৈঠক হলেও পাঁচ মাস পার হয়ে গেছে, পদোন্নতি আদেশ হয়নি। শিক্ষকদের অভিযোগ, আদালত কোনো স্থগিতাদেশ দেননি, অথচ মন্ত্রণালয় স্থগিত রেখেছে। ভুক্তভোগীরা গত ৩০ অক্টোবর মাউশির সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আন্দোলনের মুখে মন্ত্রণালয় ৬ নভেম্বর ও পরবর্তীতে একাধিক ডিপিসি সভা করেছে। কিন্তু পদোন্নতির আদেশ এখনও জারি হয়নি। ৯ নভেম্বর আন্দোলনকারী প্রভাষকরা সারা দেশে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, পদোন্নতির আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি চলবে। অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই পদোন্নতি পেয়েছেন। স্বাস্থ্য ক্যাডারে চলতি সপ্তাহেও ৫০০-এর বেশি কর্মকর্তার সুপারনিউমারি পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অথচ শিক্ষা ক্যাডারে ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচের প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। তাদের দাবি, ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত পদোন্নতি অবিলম্বে নিশ্চিত করা হোক। সরকারের ইচ্ছা থাকলে পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব, শুধু প্রয়োজন উদ্যোগ ও সদিচ্ছা। উল্লেখ্য, ৩২তম ও ৩৩তম ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরও প্রথম পদোন্নতি পাননি। ৩৪তম, ৩৫তম, ৩৬তম ও ৩৭তম ব্যাচও যথাক্রমে ১০, ৯, ৮ ও ৭ বছর পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। গ্রেডেশনভুক্ত কর্মকর্তার সংখ্যা অনুযায়ী, ৩২তম ব্যাচে ৫৪ জন, ৩৩তম ব্যাচে ৩৬১ জন, ৩৪তম ব্যাচে ৬৩১ জন, ৩৫তম ব্যাচে ৭৪০ জন, ৩৬তম ব্যাচে ৪৬০ জন এবং ৩৭তম ব্যাচে ১৫৩ জন প্রভাষক পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন।

Education Bangla নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা, ৫ দফা দাবি উপস্থাপন

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুলাল দে, নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মো. কামরুল হাছান, আর মহাসচিব হয়েছেন এ টি এম মনিরুজ্জামান। নতুন কমিটিতে আরও দায়িত্ব পেয়েছেন—জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি-১ আবুল কালাম আজাদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি-২ মো. আব্দুল মান্নান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাইরুল ইশতিয়াক সাকিব, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তপন। সম্মেলন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ দশম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষক পদ নবম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— সহকারী শিক্ষক এনট্রি পদ ধরে বিভাগীয় উচ্চ পদগুলোতে শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রদানের জটিলতা দূর করা, অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো আর্থিক সুবিধা সমতাকরণসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার। অনুষ্ঠানে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের পেশাগত মান উন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সাবেক নির্বাহী সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট অপর্ণা রায় দাস, এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফারুক আহম্মদ। অ্যাডভোকেট অপর্ণা রায় দাস বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। তাদের ৫ দফা দাবি যৌক্তিক।” তিনি উল্লেখ করেন, জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবদান অনন্য। ড. ফারুক আহম্মদ বলেন, “অন্যান্য দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনভাতা অনেক বেশি। আমাদের দেশের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন অত্যন্ত কম—এটি পরিবর্তন জরুরি। উন্নত প্রশিক্ষণও প্রয়োজন।” অনুষ্ঠানে সমিতির সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শারমিন সুলতানা ও সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তপন। বিভিন্ন জেলা কমিটির নেতারাও আলোচনায় অংশ নেন।

Education Bangla নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র সফল হবে না: হোমনায় সেলিম ভূঁইয়া

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তবে এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হবে না। দেশের মানুষ নির্বাচনে অংশ নেবে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবে। সম্প্রতি কুমিল্লার হোমনা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “আমার নেতা তারেক রহমান সাহেব জানেন আমাকে কোথায় রাখতে হবে। হোমনাবাসীর জন্য সুখবর— এখানকার গডফাদারদের বিদায় হয়েছে। আমি আসার কারণেই তাদের বিদায় ঘটেছে। হোমনায় আর কোনো গডফাদার ফিরবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমি হোমনার ভোটার, মেঘনার না। হোমনার মানুষ ভুল করে না। আমাকে মনোনয়ন দিলে এবং আমি নির্বাচিত হলে পৌরসভার এলাকা সম্প্রসারণ করব। যারা ঝাড়ু হাতে মাঠে নেমেছেন, তাদের নাম লিখে রাখবেন— এঁদের ঝাড়ুদার হিসেবেই নিয়োগ দেওয়া হবে। হোমনায় ধান থাকবে, কিন্তু কোনো চিটাধান থাকবে না।” হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “যারা হাংকি–পাংকির কথায় মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তাদের বলছি— এসব বন্ধ করুন। বিএনপি জনমানুষের দল, আর মানুষ এখন অনেক সচেতন।” সভায় সভাপতিত্ব করেন হোমনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মুকুল, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, পৌর বিএনপির সভাপতি ছানাউল্লাহ সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হাসান, পৌর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আব্দুল লতিফসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আলোচনা সভা শেষে সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি হোমনা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে হোমনা চৌরাস্তা, উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘুরে পৌর মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

Education Bangla নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (পুপরোয়া)
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিআর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নতুন কমিটি গঠন

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিআর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের জন্য গঠিত নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আবু মিয়া আকন্দ (তুহিন) এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সহ-পরিচালক আনোয়ার হাবীব কাজল। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির ব্র্যান্ডিং ও পাবলিক রিলেশন অফিসের পরিচালক আল আমিন শিকদার সিহাব এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মহিউদ্দিন। নবগঠিত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদ হাসান। অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির যুগ্ম রেজিস্ট্রার মামুন-উল মতিন। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনজুর হোসাইন এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান রাইসুল হক চৌধুরী। পুপরোয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, জনসংযোগ পেশাজীবীদের ভূমিকা উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি, কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং সুনাম নির্মাণে অপরিহার্য। নবনির্বাচিত কমিটি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ পেশার বিকাশ, পলিসি উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, স্যোসাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু, পুপরোয়ার সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান, সদ্য বিদায়ী সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক বেলাল আহমেদ এবং সাবেক সহ-সভাপতি ড. হাসান সাইমুম ওয়াহাব। নবনির্বাচিত কমিটি আশা করে, তাদের কার্যক্রম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ পেশার উন্নয়ন, গবেষণা এবং পেশাগত মর্যাদার বৃদ্ধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Education Bangla নভেম্বর ৯, ২০২৫ 0
সৰ্বাধিক পঠিত
শিক্ষাপঞ্জিতে ভিন্নতা—পূজার ছুটিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে টানা বারো দিন, মাদরাসা-কারিগরিতে মাত্র চার দিন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে ছুটির দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পূজার আমেজ শুরু হচ্ছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই। কারণ ওই দুই দিন (২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক বন্ধের পর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পূজার ছুটি কার্যকর হবে। একটানা ছুটি কাটিয়ে ৭ অক্টোবরের পর আবার নতুন উদ্যমে শুরু হবে ক্লাস। একইভাবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতেও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা বারো দিনের ছুটি মিলবে। ৮ অক্টোবর থেকে আবার গরমিল ছাড়া ক্লাস চলবে যথারীতি। অন্যদিকে, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা ভিন্ন। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্গাপূজার জন্য ছুটি থাকবে মাত্র দুই দিন—১ ও ২ অক্টোবর। তবে এর সঙ্গে যোগ হবে ৩ ও ৪ অক্টোবরের সাপ্তাহিক বন্ধ। ফলে মোট ছুটি দাঁড়াবে চার দিনে। ৫ অক্টোবর থেকে পুরোদমে আবার চলবে পাঠদান। 👉 প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছুটি দীর্ঘায়িত হলেও মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুলনামূলকভাবে সীমিত এই ছুটির মেয়াদ শিক্ষার্থীদের পাঠচর্চার ধারাবাহিকতায় রাখবে এক ধাপ এগিয়ে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পরিপত্র স্থগিত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর) চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং ১ ডিসেম্বর থেকে সব অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত করার যে পরিপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারি করেছিল, তার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্রটি জারি করা হয়। ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। আইনজীবীদের তথ্যমতে, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা–২০২৪ এ চলতি বছরের ২৮ ও ৩১ আগস্ট সংশোধনী আনে ঢাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। সংশোধনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত ১৩(১) বিধি এবং যোগ্যতাসংক্রান্ত ৬৪(৩) বিধি পরিবর্তন করা হয়। এই দুই বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এমরান হোসেনসহ চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গত রোববার রিট আবেদন করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী। পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দেশের নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বোর্ডগুলো ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনাসংক্রান্ত প্রবিধানমালায় সংশোধন আনে, যেখানে বলা হয়েছে— সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নবম গ্রেডের নিচে নন এমন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত হলে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে পারবেন। অর্থাৎ বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শুধুমাত্র সরকারি বা আধা সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। আগে যেখানে সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে হতেন, সেখানে এখন এই যোগ্যতাসীমা আরোপ করা হয়েছে— যা আবেদনকারীদের মতে বৈষম্যমূলক। রিটে আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। হাইকোর্ট রুল জারি করে ৮ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। ফলে বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাডহক কমিটি আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।  

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় গ্রুপের ফল প্রকাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর ৩য় গ্রুপের ( ০৩ টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৩,০৫৭ (তেইশ হাজার সাতান্ন) জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।  মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

সরকারি কর্মকর্তার একচ্ছত্র বিধান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট

বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোনয়ন দেওয়ার বিধান সংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন যে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে কেবল সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মনোনয়নের এই বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। আদেশের দিন ও বেঞ্চ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটের কারণ ও আইনজীবীর বক্তব্য বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের এই বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট মোকছেদুর রহমান আবির রিটটি দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধান বৈষম্যমূলক। এই যুক্তিতেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। প্রজ্ঞাপনের মূল বিষয়বস্তু গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। এই পদে নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত কিংবা পঞ্চম গ্রেড বা তার ওপরের পদে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এছাড়া, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতি হতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির জানান, বিদ্যমান নিয়মে সামান্য সংশোধন এনে শুধু সভাপতি পদটির জন্য এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল।

মাত্র ২ মাসে শ্রমিক মজুরি বাবদ ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়, টেন্ডার ছাড়াই 'স্পট কোটেশন'!

ঢাকা: মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে উন্নয়নমূলক কাজের নামে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ও মজুরি খাতে ৩,১৮,৮৯,০৫৪/- (তিন কোটি আঠারো লক্ষ ঊননব্বই হাজার চুয়ান্ন) টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এই বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (PPR) সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মজুরি, টেন্ডার নেই তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২0২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (প্রায় দুই মাস) এডহক কমিটির নির্দেশে ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়। এই কাজের মধ্যে নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ব্যবহৃত শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয়িত অর্থের হিসাব নিম্নরূপ: কাজের বিবরণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যয়িত টাকার পরিমাণ রং করা (লেবার) বান্না এন্টারপ্রাইজ ১,৩০,৯২,৯৭৭/- রাজমিস্ত্রী, কাঠ, সেনিটারী (লেবার) মেসার্স শিলা এন্টারপ্রাইজ ৬১,২০,৪৬০/- টাইলস, মোজাইক ও ইলেকট্রিক (লেবার) তানভীর এন্টারপ্রাইজ ১৩,৭৭,৪৭৪/- গ্রীল, অভিভাবক সেড (লেবার) মেসার্স মোল্লা ওয়েল্ড ১২,৪৮,১৪৩/- মোট শ্রমিক মজুরি ব্যয়   ৩,১৮,৮৯,০৫৪/- (এছাড়া মালামাল ক্রয় বাবদ আরও ১,২৩,৭৪,৪৩৭/- টাকা নগদে ব্যয় করা হয়)। বিধি লঙ্ঘন করে স্পট কোটেশন তদন্তে ডিআইএ নিশ্চিত করেছে যে, এই বিশাল অঙ্কের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার দরপত্র বা টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। পিপিআর-এর লঙ্ঘন: পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (PPR) অনুযায়ী, ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকার অধিক মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান করতে হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার: কিন্তু মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ লক্ষ টাকার সীমা অতিক্রম করে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা ব্যয় করেছে 'স্পট কোটেশনের' মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে কাজ দেওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক দর নিশ্চিত হয়নি, যা আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের পথ সুগম করেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়। বাতিল কমিটি দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদন আরও জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নতুন এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ (১৮/১১/২০২৪) জারির পরও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আখলাক আহম্মেদ পূর্বের (বাতিলকৃত) এডহক কমিটির মাধ্যমেই কার্যক্রম চালিয়ে যান। বাতিল কমিটির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের এই উন্নয়ন কাজ করানো হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করার শামিল। রাজস্ব ফাঁকি উন্নয়ন কাজের জন্য ঠিকাদারদের পরিশোধিত ৩,১২,১৮,০০০/- টাকার ওপর ধার্যকৃত ভ্যাট ও আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি। শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয়িত বিপুল অঙ্কের অর্থের ওপরও এই রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। সরকারি কোষাগারে ফেরতযোগ্য মোট ৩৮,০২,২৫০/- (আটত্রিশ লক্ষ দুই হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা অবিলম্বে জমা দেওয়ার জন্য প্রতিবেদনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত এই ঘটনা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে একটি বাতিল কমিটি মাত্র দুই মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা টেন্ডার ছাড়াই মজুরি খাতে ব্যয় করে সরকারি বিধিমালাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে।  ( দ্বিতীয় পর্ব আসছে শিগগিরই, কারা কারা এই লুটপাটে জড়িত তাদেরও পরিচয় তুলে ধরা হবে )  

Top week

মাদ্রাসা

নীতিমালার জটিলতায় এমপিওভুক্তি থেকে বাদ ৬০৯ মাদ্রাসা, শিক্ষকদের হতাশা বেড়েছে

Education Bangla নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

অনলাইন জরিপ

আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন দল। আপনি কি মনে করেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকারে ব্যবস্থা করা উচিৎ?

×