শিক্ষা মন্ত্রণালয়

এনসিটিবি-NCTB
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ১২ কোটিরও বেশি নতুন পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হবে

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি), দাখিল এবং কারিগরি শাখার ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি নতুন পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই বিশাল সংখ্যক বইয়ের জন্য মোট ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা ব্যয় হবে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তিন ধাপে অনুমোদিত বই ও ব্যয়: ১. ষষ্ঠ শ্রেণির বই: মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ শ্রেণির মোট ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮১ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৫০ টাকা। প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের জন্য গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ টাকা ৫৮ পয়সা। ২. অষ্টম শ্রেণির বই: মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির অষ্টম শ্রেণির মোট ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার ৯৭ টাকা। প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের জন্য গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ টাকা। ৩. সপ্তম শ্রেণির বই: মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির সপ্তম শ্রেণির মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এই বইগুলোর জন্য ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৪ টাকা। প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের জন্য গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ টাকা ৭ পয়সা। ক্রয় প্রক্রিয়া: জানা গেছে, তিনটি শ্রেণির জন্যই আলাদাভাবে উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে কারিগরি কমিটি (টিইসি)-এর সুপারিশ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বইগুলো ক্রয় করার প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়।

Education Bangla অক্টোবর ২৪, ২০২৫ 0
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। ছবি- সংগৃহীত
শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ: দিনটি ‘ঐতিহাসিক’ - উপদেষ্টা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশে উন্নীত করার দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। একই সঙ্গে তিনি নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ বলেও মনে করেছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ করার বিষয়ে সম্মতিপত্র জারি করে। এরপর এক বিবৃতিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আজকের এই দিনটি শিক্ষা বিভাগের জন্য সত্যিই ঐতিহাসিক। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৭.৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) হারে বাড়িভাড়া কার্যকর হবে, আর ২০২৬ সালের জুলাই থেকে আরও ৭.৫ শতাংশ যুক্ত হয়ে মোট ১৫ শতাংশ ভাতা চালু হবে।” তিনি আরও বলেন, “সম্মানিত শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে পেরে একজন শিক্ষক হিসেবে এবং শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।” শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষা উপদেষ্টা বিশ্বাস করেন—শিক্ষকরা সমাজে আরও বেশি সম্মানের দাবিদার, এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। সি আর আবরার বলেন, “বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশে উন্নীত করার পথটা সহজ ছিল না। নানা মতভেদ, বিতর্ক ও অভিযোগ ছিল। কিন্তু কোনো বিতর্কে জড়ানো ছাড়া আমরা ন্যায্য ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যেই কাজ করে গেছি।” বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নেপথ্যে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা পরিষদ এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “এটি কারও একার অর্জন নয়; এটি যৌথ সাফল্য। শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে, সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে, আর একসঙ্গে কাজ করার ফলেই আমরা আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছি—যেখানে সম্মান, সংলাপ ও সমঝোতাই জয়ী হয়েছে।” শেষে তিনি বলেন, “এখন সময় ক্লাসে ফেরা, শিক্ষার্থীদের কাছে যাওয়া—আমাদের আসল কাজের জায়গায় ফিরে যাওয়ার। আজকের এই সমঝোতা হোক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও মানসম্মত শিক্ষার নতুন সূচনা। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিতে পারব।”

Education Bangla অক্টোবর ২২, ২০২৫ 0
এবার এইচএসসিতে এত কম পাসের কারণ কী ?

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার (৫৮.৮৩%) উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে উঠে এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার এই ফলাফলকে "বাস্তবভিত্তিক" এবং "স্বাভাবিক" বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে শিক্ষাব্যবস্থার দীর্ঘদিনের সমস্যা ও মূল্যায়নে কঠোরতা তুলে ধরেছেন। পাসের হার কমার প্রধান কারণগুলো হলো: ১. শিক্ষার প্রকৃত ঘাটতি (Learning Crisis): শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশে শেখার সংকট শুরু হয় প্রাথমিক স্তর থেকেই এবং সেই ঘাটতি বছর বছর সঞ্চিত হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এসে বড় আকারে ধরা পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শুধু 'ভালো' ফলাফল দেখানোর জন্য পাসের হার ও জিপিএ-৫-কে সাফল্যের মানদণ্ড হিসেবে ধরার প্রবণতা ছিল, যা শেখার প্রকৃত ঘাটতিকে আড়াল করে রেখেছিল।   বছর পাসের হার (%) ২০১৫ ৭৪.৭৭ ২০১৬ ৭৮.০৫ ২০১৭ ৭৮.৭৭ ২০১৮ ৭৬.৭৪ ২০১৯ ৭৩.৯৭ ২০২০ ১০০ (অটোপাস) ২০২১ ৯৫.২৬ ২০২২ ৮৫.৯৫ ২০২৩ ৭৮.৬৪ ২০২৪ ৭৭.৭৮ ২০২৫ ৫৮.৮৩ ২. মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন ও কঠোরতা: শিক্ষা উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এবারের মূল্যায়নে "অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে সন্তুষ্টি" নয়, বরং "ন্যায্য নম্বর দিয়ে সততা"-কে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি সকল শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছিলেন— যেন ফলাফলের বাস্তবতা বিকৃত না হয় এবং সীমান্তরেখায় থাকা শিক্ষার্থীদের প্রতি ন্যায্যতা বজায় রেখে কঠোরভাবে খাতা দেখা হয়। এর অর্থ হলো, আগে যে "গ্রেস মার্কস" বা কিছুটা উদারভাবে নম্বর দেওয়ার প্রবণতা ছিল, এবার তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব ফলাফলে পড়েছে। ৩. বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা: ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের মতে, শিক্ষার্থীরা ইংরেজি, গণিত এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা দেখিয়েছে, যা সামগ্রিক পাসের হার কমিয়ে দিয়েছে। ৪. কোভিড-পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা: এটিই প্রথম পরীক্ষা, যা কোভিড-১৯ মহামারীর পরে পূর্ণ নম্বর, পূর্ণ সময় এবং পূর্ণ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে (বিশেষ করে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২) পরীক্ষা বাতিল, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশিত হওয়ায় পাসের হার অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ফেরায় পাসের হার কমেছে। শিক্ষা উপদেষ্টা এই ফলাফলকে "ব্যর্থতা নয়, বরং আত্মসমালোচনার সুযোগ" হিসেবে দেখছেন এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার মান ও ন্যায্য মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।

Education Bangla অক্টোবর ১৬, ২০২৫ 0
অবসরে যাওয়া শিক্ষক
অবসরভাতা না পেয়ে অনিশ্চয়তায় ৮৮ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮৮ হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী চার বছর ধরে অবসর ও কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। নিয়মিত চাঁদা দেওয়া সত্ত্বেও অবসরের পর তারা প্রাপ্য অর্থ পাচ্ছেন না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অবসরের ছয় মাসের মধ্যে ভাতা পরিশোধ করার কথা থাকলেও পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট জানিয়েছে, জমে থাকা আবেদন নিষ্পত্তিতে এখনই প্রয়োজন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সম্প্রতি সরকার দিয়েছে মাত্র ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা—যার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা বন্ড আকারে অবসর সুবিধা বোর্ডে এবং ২০০ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে কল্যাণ ট্রাস্টে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকায় পরিস্থিতি সাময়িকভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও সংকট নিরসন হবে না। বর্তমানে একটি আবেদন নিষ্পন্ন হতে গড়ে আড়াই বছর সময় লেগে যাচ্ছে। এদিকে, আবেদন নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। অনেকে চিকিৎসা ব্যয়, সন্তানদের লেখাপড়া, বিয়ে বা হজ-ওমরাহর খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ কেউ ধারদেনা করে চলছেন, আবার অনেকে টাকা না পেয়ে মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীরা প্রাপ্য পাওয়ার জন্য ছুটছেন। শিক্ষাবিদরা বলছেন, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব ও সমাজে তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। তরুণ প্রজন্মও শিক্ষা পেশায় আগ্রহ হারাতে পারে। তাদের মতে, শিক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার না দিয়ে অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত ব্যয় করাতেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। অবসর সুবিধা বোর্ডের হিসাবে, বর্তমানে ৪৫ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন, যার জন্য প্রয়োজন ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে, কল্যাণ ট্রাস্টে ৪২ হাজার ৬০০ আবেদন জমে আছে, যা নিষ্পত্তি করতে লাগবে প্রায় ৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। অথচ বোর্ডের মাসিক চাহিদা ৬৫ কোটি টাকা হলেও জমা হয় মাত্র ৫৫ কোটি টাকা, ফলে প্রতিবছর প্রায় ১২০ কোটি টাকার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। চাকরিকালে কাটা টাকা অবসর সুবিধার জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৬% এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য ৪% টাকা কেটে রাখা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও বছরে ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে—এর মধ্যে ৭০ টাকা অবসরের জন্য ও ৩০ টাকা কল্যাণের জন্য। অর্থাৎ, চাকরিকালে নিজেদের জমানো টাকা ফেরত পেতে এখন বছরের পর বছর ধরনা দিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। সমাধানের দাবি অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বলছেন, সংকট সমাধানে প্রয়োজন এককালীন বিশেষ বরাদ্দ। নাহলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্ভোগ দীর্ঘদিন চলতেই থাকবে।  

Education Bangla অক্টোবর ৩, ২০২৫ 0
শিক্ষাপঞ্জিতে ভিন্নতা—পূজার ছুটিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে টানা বারো দিন, মাদরাসা-কারিগরিতে মাত্র চার দিন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে ছুটির দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পূজার আমেজ শুরু হচ্ছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই। কারণ ওই দুই দিন (২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক বন্ধের পর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পূজার ছুটি কার্যকর হবে। একটানা ছুটি কাটিয়ে ৭ অক্টোবরের পর আবার নতুন উদ্যমে শুরু হবে ক্লাস। একইভাবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতেও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা বারো দিনের ছুটি মিলবে। ৮ অক্টোবর থেকে আবার গরমিল ছাড়া ক্লাস চলবে যথারীতি। অন্যদিকে, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা ভিন্ন। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্গাপূজার জন্য ছুটি থাকবে মাত্র দুই দিন—১ ও ২ অক্টোবর। তবে এর সঙ্গে যোগ হবে ৩ ও ৪ অক্টোবরের সাপ্তাহিক বন্ধ। ফলে মোট ছুটি দাঁড়াবে চার দিনে। ৫ অক্টোবর থেকে পুরোদমে আবার চলবে পাঠদান। 👉 প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছুটি দীর্ঘায়িত হলেও মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুলনামূলকভাবে সীমিত এই ছুটির মেয়াদ শিক্ষার্থীদের পাঠচর্চার ধারাবাহিকতায় রাখবে এক ধাপ এগিয়ে।

এডুকেশন বাংলা সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরুর তারিখ জানা গেল

অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। যা চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ২০২৪ সালে সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ২০২৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীরাই এবার রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের তথ্যমতে, নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা বছরের ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ১১+ এবং সর্বোচ্চ ১৭ বছর হতে হবে। তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২২ বছর নির্ধারিত। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু অনুমোদিত ও স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিকটবর্তী অনুমোদিত স্কুল বা কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ওইএমএন বা ইএসআইএফ বাটনে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর শিক্ষার্থীর সংখ্যা, নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে সোনালি সেবার স্লিপ প্রিন্ট করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। পেমেন্ট ক্লিয়ার হলে শিক্ষার্থীর তথ্য ইএসআইএফ পূরণ করে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে। ফাইনাল সাবমিটের আগে ভর্তি ফরম ও জন্মসনদের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে যাচাই করতে হবে। আর রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ২৫০ টাকা এবং যুব রেডক্রিসেন্ট ফি হিসেবে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ টাকা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব যুব রেডক্রিসেন্ট কার্যক্রমের জন্য রাখবে এবং ২৪ টাকা শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।   বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্যের রেজিস্ট্রেশন কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শেষে প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীর তথ্যে কোনো ভুল থাকলে তার দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সদস্যদের ওপর বর্তাবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে, তারা ব্যানবেইস থেকে ইআইআইএন সংগ্রহের পর সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়ে লগইন পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। স্বীকৃতি হালনাগাদ না থাকলে দ্রুত স্বীকৃতি নবায়নের আবেদন করতেও বলা হয়েছে।

এডুকেশন বাংলা সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
সৰ্বাধিক পঠিত
শিক্ষাপঞ্জিতে ভিন্নতা—পূজার ছুটিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে টানা বারো দিন, মাদরাসা-কারিগরিতে মাত্র চার দিন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে ছুটির দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পূজার আমেজ শুরু হচ্ছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই। কারণ ওই দুই দিন (২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক বন্ধের পর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পূজার ছুটি কার্যকর হবে। একটানা ছুটি কাটিয়ে ৭ অক্টোবরের পর আবার নতুন উদ্যমে শুরু হবে ক্লাস। একইভাবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতেও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা বারো দিনের ছুটি মিলবে। ৮ অক্টোবর থেকে আবার গরমিল ছাড়া ক্লাস চলবে যথারীতি। অন্যদিকে, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা ভিন্ন। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্গাপূজার জন্য ছুটি থাকবে মাত্র দুই দিন—১ ও ২ অক্টোবর। তবে এর সঙ্গে যোগ হবে ৩ ও ৪ অক্টোবরের সাপ্তাহিক বন্ধ। ফলে মোট ছুটি দাঁড়াবে চার দিনে। ৫ অক্টোবর থেকে পুরোদমে আবার চলবে পাঠদান। 👉 প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছুটি দীর্ঘায়িত হলেও মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুলনামূলকভাবে সীমিত এই ছুটির মেয়াদ শিক্ষার্থীদের পাঠচর্চার ধারাবাহিকতায় রাখবে এক ধাপ এগিয়ে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পরিপত্র স্থগিত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর) চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং ১ ডিসেম্বর থেকে সব অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত করার যে পরিপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারি করেছিল, তার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্রটি জারি করা হয়। ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। আইনজীবীদের তথ্যমতে, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা–২০২৪ এ চলতি বছরের ২৮ ও ৩১ আগস্ট সংশোধনী আনে ঢাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। সংশোধনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত ১৩(১) বিধি এবং যোগ্যতাসংক্রান্ত ৬৪(৩) বিধি পরিবর্তন করা হয়। এই দুই বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এমরান হোসেনসহ চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গত রোববার রিট আবেদন করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী। পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দেশের নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বোর্ডগুলো ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনাসংক্রান্ত প্রবিধানমালায় সংশোধন আনে, যেখানে বলা হয়েছে— সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নবম গ্রেডের নিচে নন এমন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত হলে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে পারবেন। অর্থাৎ বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শুধুমাত্র সরকারি বা আধা সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। আগে যেখানে সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে হতেন, সেখানে এখন এই যোগ্যতাসীমা আরোপ করা হয়েছে— যা আবেদনকারীদের মতে বৈষম্যমূলক। রিটে আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। হাইকোর্ট রুল জারি করে ৮ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। ফলে বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাডহক কমিটি আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।  

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় গ্রুপের ফল প্রকাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর ৩য় গ্রুপের ( ০৩ টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৩,০৫৭ (তেইশ হাজার সাতান্ন) জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।  মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

সরকারি কর্মকর্তার একচ্ছত্র বিধান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট

বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোনয়ন দেওয়ার বিধান সংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন যে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে কেবল সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মনোনয়নের এই বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। আদেশের দিন ও বেঞ্চ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটের কারণ ও আইনজীবীর বক্তব্য বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের এই বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট মোকছেদুর রহমান আবির রিটটি দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধান বৈষম্যমূলক। এই যুক্তিতেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। প্রজ্ঞাপনের মূল বিষয়বস্তু গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। এই পদে নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত কিংবা পঞ্চম গ্রেড বা তার ওপরের পদে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এছাড়া, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতি হতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির জানান, বিদ্যমান নিয়মে সামান্য সংশোধন এনে শুধু সভাপতি পদটির জন্য এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল।

মাত্র ২ মাসে শ্রমিক মজুরি বাবদ ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়, টেন্ডার ছাড়াই 'স্পট কোটেশন'!

ঢাকা: মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে উন্নয়নমূলক কাজের নামে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ও মজুরি খাতে ৩,১৮,৮৯,০৫৪/- (তিন কোটি আঠারো লক্ষ ঊননব্বই হাজার চুয়ান্ন) টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এই বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (PPR) সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মজুরি, টেন্ডার নেই তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২0২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (প্রায় দুই মাস) এডহক কমিটির নির্দেশে ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়। এই কাজের মধ্যে নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ব্যবহৃত শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয়িত অর্থের হিসাব নিম্নরূপ: কাজের বিবরণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যয়িত টাকার পরিমাণ রং করা (লেবার) বান্না এন্টারপ্রাইজ ১,৩০,৯২,৯৭৭/- রাজমিস্ত্রী, কাঠ, সেনিটারী (লেবার) মেসার্স শিলা এন্টারপ্রাইজ ৬১,২০,৪৬০/- টাইলস, মোজাইক ও ইলেকট্রিক (লেবার) তানভীর এন্টারপ্রাইজ ১৩,৭৭,৪৭৪/- গ্রীল, অভিভাবক সেড (লেবার) মেসার্স মোল্লা ওয়েল্ড ১২,৪৮,১৪৩/- মোট শ্রমিক মজুরি ব্যয়   ৩,১৮,৮৯,০৫৪/- (এছাড়া মালামাল ক্রয় বাবদ আরও ১,২৩,৭৪,৪৩৭/- টাকা নগদে ব্যয় করা হয়)। বিধি লঙ্ঘন করে স্পট কোটেশন তদন্তে ডিআইএ নিশ্চিত করেছে যে, এই বিশাল অঙ্কের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার দরপত্র বা টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। পিপিআর-এর লঙ্ঘন: পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (PPR) অনুযায়ী, ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকার অধিক মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান করতে হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার: কিন্তু মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ লক্ষ টাকার সীমা অতিক্রম করে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা ব্যয় করেছে 'স্পট কোটেশনের' মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে কাজ দেওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক দর নিশ্চিত হয়নি, যা আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের পথ সুগম করেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়। বাতিল কমিটি দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদন আরও জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নতুন এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ (১৮/১১/২০২৪) জারির পরও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আখলাক আহম্মেদ পূর্বের (বাতিলকৃত) এডহক কমিটির মাধ্যমেই কার্যক্রম চালিয়ে যান। বাতিল কমিটির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের এই উন্নয়ন কাজ করানো হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করার শামিল। রাজস্ব ফাঁকি উন্নয়ন কাজের জন্য ঠিকাদারদের পরিশোধিত ৩,১২,১৮,০০০/- টাকার ওপর ধার্যকৃত ভ্যাট ও আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি। শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয়িত বিপুল অঙ্কের অর্থের ওপরও এই রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। সরকারি কোষাগারে ফেরতযোগ্য মোট ৩৮,০২,২৫০/- (আটত্রিশ লক্ষ দুই হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা অবিলম্বে জমা দেওয়ার জন্য প্রতিবেদনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত এই ঘটনা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে একটি বাতিল কমিটি মাত্র দুই মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা টেন্ডার ছাড়াই মজুরি খাতে ব্যয় করে সরকারি বিধিমালাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে।  ( দ্বিতীয় পর্ব আসছে শিগগিরই, কারা কারা এই লুটপাটে জড়িত তাদেরও পরিচয় তুলে ধরা হবে )  

Top week

মাদ্রাসা

নীতিমালার জটিলতায় এমপিওভুক্তি থেকে বাদ ৬০৯ মাদ্রাসা, শিক্ষকদের হতাশা বেড়েছে

Education Bangla নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

অনলাইন জরিপ

আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন দল। আপনি কি মনে করেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকারে ব্যবস্থা করা উচিৎ?

×