নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র সফল হবে না: হোমনায় সেলিম ভূঁইয়া

অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তবে এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হবে না। দেশের মানুষ নির্বাচনে অংশ নেবে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবে।

সম্প্রতি কুমিল্লার হোমনা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “আমার নেতা তারেক রহমান সাহেব জানেন আমাকে কোথায় রাখতে হবে। হোমনাবাসীর জন্য সুখবর— এখানকার গডফাদারদের বিদায় হয়েছে। আমি আসার কারণেই তাদের বিদায় ঘটেছে। হোমনায় আর কোনো গডফাদার ফিরবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি হোমনার ভোটার, মেঘনার না। হোমনার মানুষ ভুল করে না। আমাকে মনোনয়ন দিলে এবং আমি নির্বাচিত হলে পৌরসভার এলাকা সম্প্রসারণ করব। যারা ঝাড়ু হাতে মাঠে নেমেছেন, তাদের নাম লিখে রাখবেন— এঁদের ঝাড়ুদার হিসেবেই নিয়োগ দেওয়া হবে। হোমনায় ধান থাকবে, কিন্তু কোনো চিটাধান থাকবে না।”

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “যারা হাংকি–পাংকির কথায় মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তাদের বলছি— এসব বন্ধ করুন। বিএনপি জনমানুষের দল, আর মানুষ এখন অনেক সচেতন।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন হোমনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মুকুল, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, পৌর বিএনপির সভাপতি ছানাউল্লাহ সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হাসান, পৌর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আব্দুল লতিফসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভা শেষে সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি হোমনা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে হোমনা চৌরাস্তা, উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘুরে পৌর মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মন্তব্য করুন

সভাপতি তুহিন-সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিআর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নতুন কমিটি গঠন

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (পুপরোয়া)
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (পুপরোয়া)

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিআর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের জন্য গঠিত নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আবু মিয়া আকন্দ (তুহিন) এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত। গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া ২৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সহ-পরিচালক আনোয়ার হাবীব কাজল। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির ব্র্যান্ডিং ও পাবলিক রিলেশন অফিসের পরিচালক আল আমিন শিকদার সিহাব এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মহিউদ্দিন।

নবগঠিত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদ হাসান। অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির যুগ্ম রেজিস্ট্রার মামুন-উল মতিন। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনজুর হোসাইন এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান রাইসুল হক চৌধুরী।

পুপরোয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, জনসংযোগ পেশাজীবীদের ভূমিকা উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি, কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং সুনাম নির্মাণে অপরিহার্য। নবনির্বাচিত কমিটি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ পেশার বিকাশ, পলিসি উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, স্যোসাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু, পুপরোয়ার সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান, সদ্য বিদায়ী সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক বেলাল আহমেদ এবং সাবেক সহ-সভাপতি ড. হাসান সাইমুম ওয়াহাব।

নবনির্বাচিত কমিটি আশা করে, তাদের কার্যক্রম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ পেশার উন্নয়ন, গবেষণা এবং পেশাগত মর্যাদার বৃদ্ধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মন্তব্য করুন

“নতুন বাংলাদেশে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির রাজনীতি চলবে না”

সাদিক কায়েম
সাদিক কায়েম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি ও ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবু সাদিক (কায়েম) বলেছেন, নতুন বাংলাদেশে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির রাজনীতি থাকবে না। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের উৎসব’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব প্রিয়সিন্ধু তালুকদার, ম্যানেজমেন্ট এফবিএস ক্লাব লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউল বিল্লাহ। অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

সাদিক কায়েম বলেন, “আমরা স্মরণ করছি জুলাই শহীদ ও আজাদী আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ, যার মাধ্যমে আজকে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। জুলাই বিপ্লব দেখিয়েছে যে, তরুণরাই বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। আমাদের তরুণদেরকে দেশের নেতৃত্বে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করে, আমাদেরও তেমন প্রস্তুতি নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশে মাসল পলিসি, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক কাউকে প্রোগ্রামে নেওয়া বা অধিকার হরণ কোনো রাজনীতি থাকবে না। ছাত্র রাজনীতি হবে ওয়েলফেয়ার সেন্ট্রিক এবং পলিসি সেন্ট্রিক। ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের আইডিয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে যাবে, এবং জনগণ ও শিক্ষার্থীরা সেগুলো গ্রহণ বা সমালোচনা করবে।”

সাদিক কায়েমের ভাষ্য, “আমরা স্বপ্ন দেখি এমন ক্যাম্পাসের, যেখানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, গবেষণা, আবাসন, স্বাস্থ্য ও খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে এবং নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের নেতৃত্ব প্রয়োজন, যারা পেট্রিয়টিক লিডারশিপের মাধ্যমে শহীদ আকাঙ্ক্ষার আলোকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এই তারুণ্যের উৎসব শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, সারা দেশের তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে এবং আমরা একসাথে স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।”

মন্তব্য করুন

সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতিতে দীর্ঘ অপেক্ষা

আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত ও বিধিবহির্ভূত আদেশের কারণে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ৩২তম থেকে ৩৭তম বিসিএস ব্যাচের কয়েক হাজার পদোন্নতিপ্রত্যাশী মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও দেখার কেউ নেই। কারও কারও একই পদে চাকরির বয়স ১২ বছর পার হয়ে গেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষা, অনিশ্চয়তা ও বৈষম্যের কারণে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি।

জানা গেছে, চলতি বছরের জুন ও নভেম্বর মাসে দুই দফায় একাধিক ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটি (ডিপিসি) সভা হয়েছে। কিন্তু ‘মামলার জটিলতা’ অজুহাত দেখিয়ে মন্ত্রণালয় পদোন্নতির আদেশ জারি করছে না। আদালত পদোন্নতি স্থগিতের কোনো নির্দেশ দেননি।

শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, ২০০০ সালে প্রণীত বিতর্কিত বিধিমালা ৬(৫) অনুযায়ী আত্তীকৃত শিক্ষকরা সমস্ত যোগ্যতা অর্জনের পর ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের সুযোগ পান। কিন্তু ২০২৪ সালে কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তার অবৈধ পদক্ষেপে ৫৪টি আদেশ জারি হয়ে প্রায় দুই হাজার আত্তীকৃত শিক্ষকের সুযোগ সীমিত হয়েছে। এরপর থেকে পদোন্নতির জন্য আবেদন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি ১৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রথম দফায় ৪ জুন ডিপিসি বৈঠক হলেও পাঁচ মাস পার হয়ে গেছে, পদোন্নতি আদেশ হয়নি। শিক্ষকদের অভিযোগ, আদালত কোনো স্থগিতাদেশ দেননি, অথচ মন্ত্রণালয় স্থগিত রেখেছে।

ভুক্তভোগীরা গত ৩০ অক্টোবর মাউশির সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আন্দোলনের মুখে মন্ত্রণালয় ৬ নভেম্বর ও পরবর্তীতে একাধিক ডিপিসি সভা করেছে। কিন্তু পদোন্নতির আদেশ এখনও জারি হয়নি। ৯ নভেম্বর আন্দোলনকারী প্রভাষকরা সারা দেশে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, পদোন্নতির আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি চলবে।

অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই পদোন্নতি পেয়েছেন। স্বাস্থ্য ক্যাডারে চলতি সপ্তাহেও ৫০০-এর বেশি কর্মকর্তার সুপারনিউমারি পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অথচ শিক্ষা ক্যাডারে ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচের প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না।

তাদের দাবি, ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত পদোন্নতি অবিলম্বে নিশ্চিত করা হোক। সরকারের ইচ্ছা থাকলে পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব, শুধু প্রয়োজন উদ্যোগ ও সদিচ্ছা। উল্লেখ্য, ৩২তম ও ৩৩তম ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরও প্রথম পদোন্নতি পাননি। ৩৪তম, ৩৫তম, ৩৬তম ও ৩৭তম ব্যাচও যথাক্রমে ১০, ৯, ৮ ও ৭ বছর পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না।

গ্রেডেশনভুক্ত কর্মকর্তার সংখ্যা অনুযায়ী, ৩২তম ব্যাচে ৫৪ জন, ৩৩তম ব্যাচে ৩৬১ জন, ৩৪তম ব্যাচে ৬৩১ জন, ৩৫তম ব্যাচে ৭৪০ জন, ৩৬তম ব্যাচে ৪৬০ জন এবং ৩৭তম ব্যাচে ১৫৩ জন প্রভাষক পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা, ৫ দফা দাবি উপস্থাপন

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মঞ্জুলাল দে, নির্বাহী সভাপতি মো. কামরুল হাছান ও মহা সম্পাদক এ টি এম মনিরুজ্জামান।

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুলাল দে, নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মো. কামরুল হাছান, আর মহাসচিব হয়েছেন এ টি এম মনিরুজ্জামান

নতুন কমিটিতে আরও দায়িত্ব পেয়েছেন—জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি-১ আবুল কালাম আজাদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি-২ মো. আব্দুল মান্নান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাইরুল ইশতিয়াক সাকিব, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তপন

সম্মেলন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ দশম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষক পদ নবম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • সহকারী শিক্ষক এনট্রি পদ ধরে বিভাগীয় উচ্চ পদগুলোতে শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা,

  • চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রদানের জটিলতা দূর করা,

  • অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো আর্থিক সুবিধা সমতাকরণসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার।

অনুষ্ঠানে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের পেশাগত মান উন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সাবেক নির্বাহী সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট অপর্ণা রায় দাস, এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফারুক আহম্মদ

অ্যাডভোকেট অপর্ণা রায় দাস বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। তাদের ৫ দফা দাবি যৌক্তিক।” তিনি উল্লেখ করেন, জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবদান অনন্য।

ড. ফারুক আহম্মদ বলেন, “অন্যান্য দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনভাতা অনেক বেশি। আমাদের দেশের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন অত্যন্ত কম—এটি পরিবর্তন জরুরি। উন্নত প্রশিক্ষণও প্রয়োজন।”

অনুষ্ঠানে সমিতির সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শারমিন সুলতানা ও সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তপন। বিভিন্ন জেলা কমিটির নেতারাও আলোচনায় অংশ নেন।

মন্তব্য করুন
×