সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা, ৫ দফা দাবি উপস্থাপন
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুলাল দে, নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মো. কামরুল হাছান, আর মহাসচিব হয়েছেন এ টি এম মনিরুজ্জামান।
নতুন কমিটিতে আরও দায়িত্ব পেয়েছেন—জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি-১ আবুল কালাম আজাদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি-২ মো. আব্দুল মান্নান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাইরুল ইশতিয়াক সাকিব, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তপন।
সম্মেলন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ দশম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষক পদ নবম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
-
সহকারী শিক্ষক এনট্রি পদ ধরে বিভাগীয় উচ্চ পদগুলোতে শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা,
-
চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রদানের জটিলতা দূর করা,
-
অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো আর্থিক সুবিধা সমতাকরণসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার।
অনুষ্ঠানে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের পেশাগত মান উন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সাবেক নির্বাহী সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট অপর্ণা রায় দাস, এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফারুক আহম্মদ।
অ্যাডভোকেট অপর্ণা রায় দাস বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। তাদের ৫ দফা দাবি যৌক্তিক।” তিনি উল্লেখ করেন, জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবদান অনন্য।
ড. ফারুক আহম্মদ বলেন, “অন্যান্য দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনভাতা অনেক বেশি। আমাদের দেশের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন অত্যন্ত কম—এটি পরিবর্তন জরুরি। উন্নত প্রশিক্ষণও প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে সমিতির সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শারমিন সুলতানা ও সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তপন। বিভিন্ন জেলা কমিটির নেতারাও আলোচনায় অংশ নেন।