মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রম গতিশীল করার সাত দফা নির্দেশনা
ভূমিকা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেবা, নেতৃত্ব ও সুনাগরিকত্বের গুণাবলী বিকাশে দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সম্প্রতি সাত দফা নির্দেশনা জারি করেছে। গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জারি করা এই অফিস আদেশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাউশির সাত দফা নির্দেশনা:
গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রমের মানোন্নয়ন ও সঠিক পরিচালনা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নিম্নোক্ত সাতটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে:
১. ইউনিট গঠন ও নিয়মিত কার্যক্রম: প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার ইউনিট গঠন নিশ্চিত করতে হবে। ইউনিটগুলোকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সেবামূলক কার্যক্রম এবং সভার আয়োজন করতে হবে।
২. বার্ষিক রিপোর্ট দাখিল: গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রমের বার্ষিক রিপোর্ট প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মাউশিতে আবশ্যিকভাবে প্রেরণ করতে হবে।
৩. ত্রৈমাসিক রিপোর্ট দাখিল প্রক্রিয়া: প্রতি ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে আঞ্চলিক অফিসে জমা দিতে হবে। আঞ্চলিক অফিসগুলো আবার এসব রিপোর্ট ১০ অক্টোবরের মধ্যে অধিদপ্তরের নির্ধারিত ই-মেইল (girlguides2025@gmail.com) ঠিকানায় পাঠাবে।
৪. প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব: প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিয়মিতভাবে ইউনিট গঠন, প্রশিক্ষণ ও সেবামূলক কার্যক্রমের সভা আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক রিপোর্টগুলো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
৫. তহবিলের সঠিক ব্যবহার ও পরিশোধ: গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার, গার্ল ইন স্কাউট এর তহবিলে আদায়কৃত ফি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার গাইডারের যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করতে হবে এবং এই অর্থ কেবল গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রমেই ব্যয় করা যাবে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত ফি সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা গার্ল গাইডস ও রেঞ্জারে নিয়মিত পরিশোধ করা আবশ্যক।
৬. কার্যক্রম পরিকল্পনা ও মনিটরিং: গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার গাইডারকে এক বছরের জন্য কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে গ্রুপ কমিটির অনুমোদন নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান এই কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করবেন।
৭. গাইডার নিয়োগ ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে সম্পৃক্ততা: যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার গাইডার নেই, প্রতিষ্ঠান প্রধান অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট জেলা বা আঞ্চলিক কার্যালয়ে যোগাযোগ করে গাইডার নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও, শিক্ষাঙ্গনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কাজে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সম্পৃক্ত করতে হবে।
