৪৯তম বিশেষ বিসিএস: লিখিত ফল ৭-১০ দিনে, ভাইভা ২৬ অক্টোবর শুরু

শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার (এমসিকিউ টাইপ) ফলাফল সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। এরপর ২৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেবল ঢাকা মহানগরীর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে এই লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫২ জন আবেদন করেছিলেন। কতজন প্রার্থী আসলে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তা এখনো সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানায়নি। পরীক্ষায় কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবরও পাওয়া যায়নি।

পিএসসি সূত্রমতে, এই বিশেষ বিসিএসের মূল লক্ষ্য হলো দেশের সরকারি সাধারণ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোতে শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করা। এই লক্ষ্য পূরণে দ্রুততম সময়ে ফল প্রকাশ করে শীঘ্র মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসির এক সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, পরীক্ষার্থী কম থাকায় চিকিৎসক নিয়োগের ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল তিন দিনেই দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ৪৯তম বিসিএসে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই লিখিত পরীক্ষার ফল ৭ থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই প্রকাশের সম্ভাবনা আছে।

পিএসসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে ২৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। ওই সদস্য জানান, মৌখিক পরীক্ষা এই মাসেই শুরু হয়ে নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত ফল বা নিয়োগের সুপারিশ করা হতে পারে। তবে ফলাফল তৈরির কাজ দ্রুত শেষ হলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হতে পারে।

Tags

৪৯তম-বিশেষ-বিসিএস শিক্ষা-ক্যাডার-নিয়োগ ৪৯তম-বিসিএস-ফলাফল ৪৯তম-বিসিএস-ভাইভা লিখিত-পরীক্ষার-ফল-প্রকাশ বিসিএস-মৌখিক-পরীক্ষার-তারিখ পিএসসি-নিয়োগ কলেজ-শিক্ষক-নিয়োগ।
মন্তব্য করুন

২১ নভেম্বর থেকে স্কুলে ভর্তির আবেদন, লটারি ১৪ ডিসেম্বর

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ২১ নভেম্বর। এবারও শিক্ষার্থী ভর্তি হবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপর ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

লটারি অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ডিসেম্বর, এবং নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।

এর আগে, ১২ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অনলাইন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন এবং শূন্য আসনের তথ্য আপলোড করবেন। পুরো প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড


আসন ও আবেদনসংখ্যা

গত বছর সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এর মধ্যে—

  • বেসরকারি স্কুল ছিল ৪ হাজার ৯৪৫টি, শূন্য আসন ছিল প্রায় ১০ লাখের বেশি

  • সরকারি স্কুল ছিল ৬৮০টি, শূন্য আসন প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার

তবে চাহিদা ছিল অনেক বেশি। সরকারি স্কুলে আবেদন পড়েছিল ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৪টি, অর্থাৎ শূন্য আসনের প্রায় ছয়গুণ। বেসরকারি স্কুলে আবেদন পড়ে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার। ফলে প্রতি বছরই সরকারি ও নামকরা বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিযোগিতা হয়ে ওঠে তীব্র।


ভর্তি ফি ও নীতিমালা

ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা
ভর্তি ফি ও অন্যান্য চার্জের সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই থাকছে—

  • মফস্বল এলাকায়: সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা

  • উপজেলা বা পৌর এলাকায়: সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা

  • মহানগর এলাকায় (ঢাকা ছাড়া): সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা

  • ঢাকার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান: সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা

  • আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান: সর্বোচ্চ ৮,০০০ টাকা

  • ইংরেজি ভার্সনের স্কুলে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা হতে পারবে।

প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি হিসেবে ৩,০০০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে, তবে পুনঃভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না।


বয়সসীমা

আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ৫ থেকে ৭ বছর
অর্থাৎ, যার জন্ম ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০-এর মধ্যে, কেবল তারাই প্রথম শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে।



এই বছরও স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হবে। লটারির ফলাফলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবে পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তির। সরকারি স্কুলে আসনসংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় প্রতিযোগিতা হবে আগের বছরের মতোই কঠিন।

মন্তব্য করুন

এইচএসসি খাতা চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ

ঢাকা বোর্ডে নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০১ শিক্ষার্থী

এনসিটিবি-NCTB
এনসিটিবি-NCTB

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ বা উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে নতুনভাবে জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন ২০১ জন শিক্ষার্থী। পাশাপাশি ফেল থেকে পাস করেছেন আরও ৩০৮ জন।

রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ফল প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন ৮৯ হাজার ৬৭১ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মোট ২ হাজার ৩৩১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে এবং গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ২ হাজার ৩৭৩ জনের।

গত ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার মূল ফলাফলে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৫৮.৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৬৯ হাজার ৯৭ পরীক্ষার্থী।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৮.৪৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪।

ফল জানবেন যেভাবে
পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ সব বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরেও এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের ফল দেখতে ভিজিট করুন: www.dhakaeducationboard.gov.bd
অন্যান্য বোর্ডের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

রাজউক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসিতে প্রায় শতভাগ সাফল্য, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২০০-র বেশি শিক্ষার্থী

রাজধানীর উত্তরার রাজউক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় দারুণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মোট পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ১৬৯৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেবল একজন অকৃতকার্য হয়েছেন। অর্থাৎ, ১৬৯২ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।

ফলাফলে দেখা যায়, রাজউকের ১২১৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৭১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ অর্জন প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যেরই প্রতিফলন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়—

  • বিজ্ঞান বিভাগে ১১৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১৩২ জন পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৬৩ জন শিক্ষার্থী।

  • ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৪২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, সবাই পাস করেছে। এদের মধ্যে ১৮৬ জনের ফল জিপিএ-৫।

  • মানবিক বিভাগেও ১৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে, যার মধ্যে ৬৯ জন জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।

অন্যদিকে, জাতীয়ভাবে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছর (২০২৪) এই হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ফলে এবারে পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

তবে জাতীয় গড়ের তুলনায় রাজউক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফলাফল অনেক এগিয়ে, যা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান, দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ের স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে।

মন্তব্য করুন

২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

আপাতত নির্বাচনী পরীক্ষা নয়, নিয়মিত ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ

 


২০২৬ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। বোর্ড জানিয়েছে, আপাতত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী পরীক্ষা নিতে পারবে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস চালিয়ে যেতে হবে

রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ করবে না।”

বোর্ড আরও জানিয়েছে, নির্বাচনী পরীক্ষার সময়সূচি ও সংক্রান্ত নির্দেশনা পরে আলাদা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধানদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়েছে— এই নির্দেশনা যেন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় এবং পাঠদান কার্যক্রমে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে।

মন্তব্য করুন

সরকারি স্কুলে ভর্তি: স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা

সরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে এবারও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। তবে লটারিভিত্তিক এই প্রক্রিয়ায় ভালো স্কুল পাওয়ার অনিশ্চয়তা ও বিভিন্ন কোটার কারণে অনেক অভিভাবকের মধ্যে প্রশ্ন ও শঙ্কা রয়ে গেছে। বিশেষ করে ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা ঘিরে আপত্তি আরও বেশি।

৬৩ শতাংশ আসন কোটা বণ্টনে
প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী, মোট শূন্য আসনের ৬৩ শতাংশই বিভিন্ন কোটায় বরাদ্দ থাকবে। এর মধ্যে ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা ৪০ শতাংশ, যা নিয়েই আপত্তি সবচেয়ে বেশি। ঢাকায় অস্থায়ীভাবে থাকা অনেক অভিভাবক মনে করেন, এই কোটা তাদের বঞ্চনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির কর্মকর্তারা বলছেন, বিশৃঙ্খলা এবং দীর্ঘ ভোগান্তি এড়াতে ক্যাচমেন্ট কোটা রাখা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা নিজ এলাকার স্কুলে পড়ার সুযোগ পায়।

প্রত্যয়নপত্রে ভোগান্তি ও জালিয়াতির অভিযোগ
ক্যাচমেন্ট কোটার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র নিতে হয়। ভাড়াটিয়া পরিবারগুলোর জন্য এটি অনেক সময় কষ্টকর হয়ে ওঠে।

মালিবাগের অভিভাবক করিম ইসলাম জানান, গত বছর তিনি ক্যাচমেন্ট কোটার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ,
“অনেকেই আবেদন করার সময় সুবিধাজনক এলাকা দেখিয়ে ক্যাচমেন্ট সুবিধা নেয়। লটারিতে টিকে গেলে পরে টাকা দিয়ে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে। এটা স্পষ্ট জালিয়াতি।”

অন্যান্য কোটাগুলো
নীতিমালা অনুযায়ী বাকি ২৩ শতাংশ কোটায় রয়েছে—

  • মুক্তিযোদ্ধার সন্তান: ৫%

  • শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তান: ১%

  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী: ১০%

  • বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী: ২%

  • অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ/সহোদর: ৫%

এ ছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ আসন বাধ্যতামূলকভাবে বরাদ্দ রাখতে হবে।

অলিখিতভাবে আরও একটি কোটা রয়েছে— দূর থেকে বদলি হয়ে আসা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য প্রায় ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়। সরকারি স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তানরাও কোটা সুবিধা পান।

কোটা নিয়ে মতভেদ
মাউশির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানের জন্য রাখা কোটার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ক্যাচমেন্ট নিয়েও জালিয়াতির প্রমাণ রয়েছে। নিয়ম শক্তভাবে মানলে সমস্যা কমবে।”

নীতিমালা পরিবর্তনে আলোচনা হতে পারে
মাউশির মহাপরিচালক  বি এম আব্দুল হান্নান সাংবাদিকদের বলেন, “মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারও লটারি হবে। ভবিষ্যতে যদি সংশ্লিষ্টরা আপত্তি তোলে, তাহলে মন্ত্রণালয় আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।”

মন্তব্য করুন
×