জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা

ইনকোর্স পরীক্ষায় নম্বর পেতে হলে ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও ছবি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষার্থীদের ইনকোর্স পরীক্ষার নম্বর পেতে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা আবশ্যক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে দুটি মানদণ্ডে—ক্লাসে উপস্থিতি ও ইনকোর্স পরীক্ষার নম্বর। উপস্থিতি বা ইনকোর্সের যেকোনো একটি বাদ পড়লে পরীক্ষার ফরম পূরণ করা যাবে না।

শনিবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১২ অক্টোবর। পরীক্ষা দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে—প্রথম ধাপ ১২ থেকে ২৩ অক্টোবর এবং দ্বিতীয় ধাপ ১৬ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ইনকোর্স পরীক্ষায় ১৫ শতাংশ এবং ক্লাসে উপস্থিতিতে ৫ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে হবে। তবে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ২০ শতাংশ নম্বর কেবল ইনকোর্স পরীক্ষার মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে। সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা নেবে এবং শিক্ষকরা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত সময় অনুযায়ী অনলাইনে ইনকোর্স নম্বর এন্ট্রি দিতে হবে। একবার নম্বর এন্ট্রি দেওয়ার পর তা আর পরিবর্তন করা যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মূল্যায়িত উত্তরপত্র, হাজিরাপত্র এবং ইনকোর্স নম্বরপত্রের কপি সিলমোহর দিয়ে গাজীপুর ক্যাম্পাস বা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। এসব কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর গাজা’: ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতির পদযাত্রা

২৪ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত দালান থেকে মরদেহ উদ্ধার করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি
২৪ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত দালান থেকে মরদেহ উদ্ধার করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘মার্চ ফর গাজা’ করে গাজার নিরীহ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছে।

  • শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পদযাত্রা শুরু করে। পদযাত্রা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

  • শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, মসজিদুল আকসা রক্ষা করার জন্য তারা লড়াই করবে এবং মসজিদটি ছাড়বে না।

  • জামিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার স্থানীয় নেতা সাজ্জাতুল্লাহ শেখ বলেন, বিশ্বের নানা মহলে বিরোধ থাকলেও তাওহিদ ও শিরক নিয়ে বড় লড়াই চলছে; ভবিষ্যতে তাওহিদ বিজয়ী হবে—এমন ভাবনা জানান।

  • আরো পড়ুন : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে রাজনৈতিক স্বার্থ, সতর্ক করেছেন উপদেষ্টা

  • তানভীর মণ্ডল বলেন, আল আকসা মুসলমানদের প্রথম কিবলা; ফিলিস্তিনের ইতিহাস ও আবেগ আমাদের সবার সঙ্গে জড়িত। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মুসলিম নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

  • শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলী বলেন, দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের হাতে প্রায় ৬৬,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, অনেক নারী ও শিশু রয়েছেন। সাম্প্রতিক মানবিক নৌবহরে হামলারও কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্ব মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করেন।

  • মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ফিলিস্তিনিদের কষ্টে যদি আমরা অনাসক্ত থাকি, তাহলে আমাদের ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ হবে; প্রয়োজনে রক্ত ও জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে—এমন বক্তব্য দেন।

মন্তব্য করুন

জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. জসীম উদ্দিন

শরীয়তপুর: জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ZHSUST) পেল নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (উপ-উপাচার্য)। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

 

নিয়োগের বিস্তারিত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৩১ (১) এবং ধারা ৩২(১) অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিনকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

  • নিয়োগের মেয়াদ: যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছরের জন্য তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

  • পূর্ববর্তী পদ: ড. জসীম উদ্দিন পূর্বে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)-এর উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান: জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করবেন এবং আইন অনুযায়ী তার কার্য সম্পাদন করবেন। তবে প্রয়োজন অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যেকোনো সময় এই নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিনের যোগদান জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে।

মন্তব্য করুন

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৭ মার্চ, রুটিন চূড়ান্ত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের ২৭ মার্চ থেকে শুরু হবে। প্রথম দিন 'সি' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ মার্চ, ৩ এপ্রিল এবং ১০ এপ্রিল—এই তিন দিনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

  • ২৭ মার্চ: 'সি' ইউনিটের (বাণিজ্য বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা।

  • ৩ এপ্রিল: 'বি' ইউনিটের (মানবিক বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা।

  • ১০ এপ্রিল: 'এ' ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা।

তবে, কবে থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে, সেই তারিখ পরবর্তী সভায় নির্ধারণ করা হবে।

সভায় ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় ইউজিসির সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

যবিপ্রবি শিক্ষার্থী তোহার আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক জয়

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশন (ডব্লিউ-আই-সি-ই) ২০২৫-এ স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মো. তোহা বিন আছাদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

চলতি বছরের ২১ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এ আসরে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশ থেকে দেড় হাজারের মতো প্রতিযোগী প্রকল্প নিয়ে অংশ নেয়। সেখানে তোহা ও তার সহযাত্রী জাহিদ হাসান জিহাদ এবং তাদের দল ‘হেক্সাগার্ড রোভার’ প্রকল্প নিয়ে অংশ নেন এবং আইটি অ্যান্ড রোবোটিকস ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক জয় করেন।

উদ্ভাবনী কাজে আগ্রহী এই তরুণ গবেষণামুখী শিক্ষার্থী সবসময়ই স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখার। এরই ধারাবাহিকতায় হেক্সাগার্ড রোভার প্রকল্পটি একটি উদ্ভাবনী রোবোটিক সিস্টেম, যা দুর্যোগকালীন উদ্ধারকাজ, নজরদারি এবং দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা কার্যক্রমে সহায়ক হতে পারে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবন রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

স্বর্ণপদক জয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে দ্বীপ বলেন, স্বর্ণপদক অর্জনের সেই মুহূর্ত ভাষায় প্রকাশ করা সত্যিই কঠিন। বাংলাদেশের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে যখন ঘোষণা করা হলো আমরা স্বর্ণপদক পেয়েছি, তখন মনে হয়েছিল—এটাই জীবনের অন্যতম গর্বের অর্জন। আমার পরিবার আনন্দে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষকরাও গভীর গর্ব অনুভব করেছেন এবং বলেছেন, এ অর্জন যবিপ্রবির জন্যও একটি সাফল্য।

তিনি আরও বলেন, এটি শুধু একটি পদক নয় বরং বাংলাদেশের তরুণদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমি বিশ্বাস করি, এই সাফল্য আগামীতে দেশের আরও তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।

মন্তব্য করুন

এইচএসসির নিম্নমুখী ফল, ভর্তিযুদ্ধে নামছে শিক্ষার্থীরা

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩ লাখ আসন; তবু শঙ্কা সেরা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।

নিম্নমুখী এমন ফলাফলে অনেক শিক্ষার্থী মন খারাপের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। কারণ, সামনে তাদের অপেক্ষা করছে কঠিন ‘ভর্তিযুদ্ধ’।

ভর্তিযুদ্ধের সামনে শিক্ষার্থীরা : দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ মিলে উচ্চশিক্ষার স্তরে প্রায় ১৩ লাখ আসন রয়েছে। কিন্তু এবার পাস করেছেন মাত্র ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, আসন ফাঁকা থাকবে ৬ লাখেরও বেশি।

তবুও প্রতিযোগিতা থাকবে শীর্ষস্থানীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে; এর মধ্যে ৫৩টিতে চলছে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টালে আরও প্রায় ৫ হাজার আসন রয়েছে।
ফলে এই ২০-২২টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিযোগিতা হবে সবচেয়ে তীব্র।

🎓 শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

শিক্ষার্থীদের প্রধান টার্গেট বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শীর্ষ ২০-২২টি বিশ্ববিদ্যালয়।

নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম বলেন, “প্রত্যাশা ছিল গোল্ডেন জিপিএ-৫। তা হয়নি। এখন লক্ষ্য বুয়েট— না হলে ঢাবি বা কুয়েট-চুয়েট।”

অন্যদিকে ভিকারুননিসা নূন কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা সুলতানা বলেন, “ঢাকাতেই পড়তে চাই। তাই ঢাবি প্রথম টার্গেট। না হলে রাজশাহী বা জাহাঙ্গীরনগরেও চেষ্টা করবো।”

🏫 বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিকল্প

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না পেলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী—প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে আসন: ৬,৩৪০টি      প্রাইভেট ডেন্টাল কলেজে: ১,৩৫০টি        আর্মড ফোর্স মেডিকেল কলেজে: ৩৫০টি

এছাড়া শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্সে ১,৮৬,৮৯৯টি আসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজে ২৩,৬৩০টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ৮,৫৮,২৭৫টি (অনার্স ও পাস কোর্স মিলিয়ে) আসন রয়েছে।এছাড়া ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৪,৫২৯টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭,৫৯৩টি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল কলেজে ১,৪৪০টি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে ৫,৬০০টি আসন রয়েছে।

📊 বিশেষজ্ঞের মতামত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বলেন, “সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে আসন সীমিত। ফলে সবাই সুযোগ পাবে না। শিক্ষার্থীদের উচিত বিকল্প সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া। সরকারেরও উচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে রাখা, যাতে সেখান থেকেও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হয়।”

 

ধরন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট আসন মন্তব্য
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩ ৫০,০০০ উচ্চ প্রতিযোগিতা
সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল - ৫,০০০ সীমিত আসন
প্রাইভেট মেডিকেল ও ডেন্টাল - ৭,৬৯০ বেশি খরচ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০০+ ১,৮৬,৮৯৯ বিকল্প সুযোগ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৬৪ কলেজ ৮,৫৮,২৭৫ তুলনামূলক সহজ ভর্তি
অন্যান্য (উন্মুক্ত, নার্সিং, টেক্সটাইল, মেরিন ইত্যাদি) - ১,০০,০০০+ বিভিন্ন সুযোগ

 “ভর্তিযুদ্ধে শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়”
📍বুয়েট, 📍ঢাবি, 📍রাজশাহী, 📍চট্টগ্রাম, 📍জাহাঙ্গীরনগর, 📍জগন্নাথ, 📍শাহজালাল, 📍খুলনা, 📍বরিশাল ও 📍মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দেখানো থাকবে।

মন্তব্য করুন

৩ জানুয়ারি কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা

৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি
৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি


২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২০২৬ সালের ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পেয়েছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি)।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হেলাল উদ্দীন।

তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক সব সমন্বয় করবে গাকৃবি। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ACAS–এর অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত। পরীক্ষাসংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা, আসন বিন্যাস এবং প্রবেশপত্র ডাউনলোডের তথ্য পরে জানানো হবে।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য করুন
×