ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, পুনর্মূল্যায়নের ইঙ্গিত ছাত্রদল প্রার্থীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পরাজিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচনের সময় ছাত্রদল রাষ্ট্রের স্বার্থে ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “ভোটার ও প্রার্থীদের অভিযোগের যথাযথ জবাবদিহি করতে যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয়, তবে ডাকসু নির্বাচন পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ থেকেই যায়।
” শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে “মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন” বিষয়ে আয়োজিত তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা শীর্ষক সংলাপের তৃতীয় অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আবিদ জানান, খুব শিগগিরই ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানানো হবে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এখনও আলোচনা হয়।
এবারকার নির্বাচনও সদ্য শেষ হয়েছে, যেখানে নানা অভিযোগ উঠেছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এসব অভিযোগের জবাবদিহি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আমরা পূর্বের মতো সংঘাতের পথে হাঁটিনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করিনি। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি। নতুন বাংলাদেশের নতুন ছাত্ররাজনীতির প্রচলনে ভূমিকা রাখতে চেয়েছি। ভোটে নানা অনিয়মের ফাঁদ পাতা হয়েছিল, সেখানে আমাকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।” ভিপি পদে হারের বিষয়ে আবিদুল ইসলাম বলেন, “এটিকে আমরা সরলভাবে পরাজয় বলতে চাই না। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অদৃশ্য রাজনৈতিক শক্তি প্রভাব বিস্তার করছে।”
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হন সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হন ফরহাদ হোসেন। তারা দুজনই ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন। ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে।