জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. জসীম উদ্দিন

শরীয়তপুর: জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ZHSUST) পেল নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (উপ-উপাচার্য)। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

 

নিয়োগের বিস্তারিত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৩১ (১) এবং ধারা ৩২(১) অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিনকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

  • নিয়োগের মেয়াদ: যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছরের জন্য তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

  • পূর্ববর্তী পদ: ড. জসীম উদ্দিন পূর্বে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)-এর উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান: জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করবেন এবং আইন অনুযায়ী তার কার্য সম্পাদন করবেন। তবে প্রয়োজন অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যেকোনো সময় এই নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিনের যোগদান জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে।

Tags

জেড-এইচ-শিকদার-বিশ্ববিদ্যালয় ড.-জসীম-উদ্দিন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর উপ-উপাচার্য শেকৃবি শরীয়তপুর শিক্ষা-সংবাদ বেসরকারি-বিশ্ববিদ্যালয় ZHSUST
মন্তব্য করুন

এইচএসসির নিম্নমুখী ফল, ভর্তিযুদ্ধে নামছে শিক্ষার্থীরা

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩ লাখ আসন; তবু শঙ্কা সেরা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।

নিম্নমুখী এমন ফলাফলে অনেক শিক্ষার্থী মন খারাপের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। কারণ, সামনে তাদের অপেক্ষা করছে কঠিন ‘ভর্তিযুদ্ধ’।

ভর্তিযুদ্ধের সামনে শিক্ষার্থীরা : দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ মিলে উচ্চশিক্ষার স্তরে প্রায় ১৩ লাখ আসন রয়েছে। কিন্তু এবার পাস করেছেন মাত্র ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, আসন ফাঁকা থাকবে ৬ লাখেরও বেশি।

তবুও প্রতিযোগিতা থাকবে শীর্ষস্থানীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে; এর মধ্যে ৫৩টিতে চলছে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টালে আরও প্রায় ৫ হাজার আসন রয়েছে।
ফলে এই ২০-২২টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিযোগিতা হবে সবচেয়ে তীব্র।

🎓 শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

শিক্ষার্থীদের প্রধান টার্গেট বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শীর্ষ ২০-২২টি বিশ্ববিদ্যালয়।

নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম বলেন, “প্রত্যাশা ছিল গোল্ডেন জিপিএ-৫। তা হয়নি। এখন লক্ষ্য বুয়েট— না হলে ঢাবি বা কুয়েট-চুয়েট।”

অন্যদিকে ভিকারুননিসা নূন কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা সুলতানা বলেন, “ঢাকাতেই পড়তে চাই। তাই ঢাবি প্রথম টার্গেট। না হলে রাজশাহী বা জাহাঙ্গীরনগরেও চেষ্টা করবো।”

🏫 বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিকল্প

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না পেলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী—প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে আসন: ৬,৩৪০টি      প্রাইভেট ডেন্টাল কলেজে: ১,৩৫০টি        আর্মড ফোর্স মেডিকেল কলেজে: ৩৫০টি

এছাড়া শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্সে ১,৮৬,৮৯৯টি আসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজে ২৩,৬৩০টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ৮,৫৮,২৭৫টি (অনার্স ও পাস কোর্স মিলিয়ে) আসন রয়েছে।এছাড়া ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৪,৫২৯টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭,৫৯৩টি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল কলেজে ১,৪৪০টি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে ৫,৬০০টি আসন রয়েছে।

📊 বিশেষজ্ঞের মতামত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বলেন, “সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে আসন সীমিত। ফলে সবাই সুযোগ পাবে না। শিক্ষার্থীদের উচিত বিকল্প সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া। সরকারেরও উচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে রাখা, যাতে সেখান থেকেও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হয়।”

 

ধরন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট আসন মন্তব্য
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩ ৫০,০০০ উচ্চ প্রতিযোগিতা
সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল - ৫,০০০ সীমিত আসন
প্রাইভেট মেডিকেল ও ডেন্টাল - ৭,৬৯০ বেশি খরচ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০০+ ১,৮৬,৮৯৯ বিকল্প সুযোগ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৬৪ কলেজ ৮,৫৮,২৭৫ তুলনামূলক সহজ ভর্তি
অন্যান্য (উন্মুক্ত, নার্সিং, টেক্সটাইল, মেরিন ইত্যাদি) - ১,০০,০০০+ বিভিন্ন সুযোগ

 “ভর্তিযুদ্ধে শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়”
📍বুয়েট, 📍ঢাবি, 📍রাজশাহী, 📍চট্টগ্রাম, 📍জাহাঙ্গীরনগর, 📍জগন্নাথ, 📍শাহজালাল, 📍খুলনা, 📍বরিশাল ও 📍মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দেখানো থাকবে।

মন্তব্য করুন

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের লং মার্চ ঘোষণা

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আগামী সোমবার (১৩ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা শিক্ষাভবন অভিমুখে লং মার্চ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা বলেন,“আমরা এখন এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে এক কদম পিছিয়ে আসা মানে বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা আশা ও আত্মত্যাগকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া।”

তারা আরও হুঁশিয়ারি দেন, বহু প্রতীক্ষিত এই অধ্যাদেশ অবিলম্বে জারি না হলে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা বলেন,“এই আন্দোলন শুধু দাবি নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ইতিহাসে এত সুশৃঙ্খল, পরিকল্পিত ও পরিণত আন্দোলন আগে দেখা যায়নি। আমরা আমাদের শেষ পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত।”

এর আগে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের জন্য একটি খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশ করে। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে—

  • সায়েন্স স্কুলে থাকবে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ

  • আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ স্কুলে থাকবে সরকারি বাংলা কলেজ

  • বিজনেস স্কুলে অন্তর্ভুক্ত হবে সরকারি তিতুমীর কলেজ

  • ল অ্যান্ড জাস্টিস স্কুলে থাকবে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ

প্রস্তাবিত কাঠামো অনুসারে শিক্ষার্থীরা প্রথম চার সেমিস্টারে সাধারণ নন-মেজর কোর্স করবে, এরপরের চার সেমিস্টারে নির্দিষ্ট বিষয়ে (ডিসিপ্লিনভিত্তিক) অধ্যয়ন করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস এমন স্থানে স্থাপন করা হবে, যা সব শিক্ষার্থীর জন্য যাতায়াত-সুবিধাজনক হবে। ক্লাস নেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

খসড়া কমিটির সদস্য তানজিমুদ্দিন খান বলেন,“আমাদের দায়িত্ব ছিল খসড়া তৈরি করা। আমরা তা সম্পন্ন করেছি, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্পূর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার।”

উল্লেখ্য, সাত কলেজ আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কিন্তু এরপর থেকেই নানা প্রশাসনিক ও একাডেমিক জটিলতা দেখা দেয়, যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার আন্দোলনে নামে। দীর্ঘদিনের সেই জটিলতার পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, কলেজগুলোকে পুনরায় পৃথক করা হবে। পরে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট পৃথকীকরণ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়।

মন্তব্য করুন

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর গাজা’: ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতির পদযাত্রা

২৪ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত দালান থেকে মরদেহ উদ্ধার করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি
২৪ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত দালান থেকে মরদেহ উদ্ধার করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘মার্চ ফর গাজা’ করে গাজার নিরীহ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছে।

  • শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পদযাত্রা শুরু করে। পদযাত্রা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

  • শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, মসজিদুল আকসা রক্ষা করার জন্য তারা লড়াই করবে এবং মসজিদটি ছাড়বে না।

  • জামিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার স্থানীয় নেতা সাজ্জাতুল্লাহ শেখ বলেন, বিশ্বের নানা মহলে বিরোধ থাকলেও তাওহিদ ও শিরক নিয়ে বড় লড়াই চলছে; ভবিষ্যতে তাওহিদ বিজয়ী হবে—এমন ভাবনা জানান।

  • আরো পড়ুন : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে রাজনৈতিক স্বার্থ, সতর্ক করেছেন উপদেষ্টা

  • তানভীর মণ্ডল বলেন, আল আকসা মুসলমানদের প্রথম কিবলা; ফিলিস্তিনের ইতিহাস ও আবেগ আমাদের সবার সঙ্গে জড়িত। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মুসলিম নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

  • শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলী বলেন, দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের হাতে প্রায় ৬৬,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, অনেক নারী ও শিশু রয়েছেন। সাম্প্রতিক মানবিক নৌবহরে হামলারও কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্ব মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করেন।

  • মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ফিলিস্তিনিদের কষ্টে যদি আমরা অনাসক্ত থাকি, তাহলে আমাদের ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ হবে; প্রয়োজনে রক্ত ও জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে—এমন বক্তব্য দেন।

মন্তব্য করুন

বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি এবং কেন?

ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড
ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড

“বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়” নির্ধারণ করা সহজ নয়, কারণ সেরা হওয়ার মানদণ্ড একেকজনের কাছে একেক রকম হতে পারে—কেউ গবেষণা দেখে, কেউ শিক্ষকতার মান, কেউ চাকরির সুযোগ, কেউ আবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তবু আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সবচেয়ে এগিয়ে রাখা হয়, তার মধ্যে শীর্ষে থাকে ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড (University of Oxford)

কেন অক্সফোর্ডকে বিশ্বের সেরা বলা হয়?

সাম্প্রতিক Times Higher Education (THE) World University Rankings–এ অক্সফোর্ড ধারাবাহিকভাবে প্রথম স্থানে রয়েছে। একাধিক কারণে এটি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়—

১. গবেষণায় অতুলনীয় উৎকর্ষতা (Research Excellence)

অক্সফোর্ড বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রতি বছর হাজার হাজার গবেষণা পেপার প্রকাশিত হয়, যেগুলোর অনেকই মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

  • চিকিৎসাবিজ্ঞান. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, পরিবেশবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মানবিক শাস্ত্র—এসব ক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের গবেষণা বিশ্বমানের বলে স্বীকৃত।

গবেষণার জন্য অক্সফোর্ড যে পরিমাণ অর্থায়ন পায়, তাও অসাধারণ। বিশ্বব্যাপী গবেষণা সহযোগিতা তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে।

২. শিক্ষাদানের মান ও শিক্ষাকাঠামো (Teaching Quality)

অক্সফোর্ডের শিক্ষাদান পদ্ধতি বিশেষভাবে বিখ্যাত—

  • তাদের “টিউটোরিয়াল সিস্টেম” বিশ্বে অনন্য, যেখানে ছোট ছোট গ্রুপে বা এক-টু-ওয়ান শেখানো হয়।

  • অত্যন্ত যোগ্য শিক্ষক ও গবেষকরা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে গাইড করেন।

  • শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে গবেষণার সুযোগ থাকে শুরু থেকেই।

এ কারণে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের গভীরে যাওয়ার সুযোগ পায় এবং প্রতিটি ছাত্রকে আলাদা করে উন্নত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

৩. আন্তর্জাতিকীকরণ, বৈচিত্র্য ও গ্লোবাল নেটওয়ার্ক (International Outlook)

অক্সফোর্ডে বিশ্বের প্রায় সব দেশের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।

  •  বিদেশি শিক্ষকের সংখ্যা বেশি.  আন্তর্জাতিক গবেষণা সহযোগিতা শক্তিশালী. বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথ প্রকল্প

এই বহুমাত্রিক আন্তর্জাতিক পরিবেশ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সাহায্য করে।

উদ্ভাবন, শিল্প-সংযোগ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা (Industry & Innovation)

অক্সফোর্ডের গবেষণা শুধু বইয়েই সীমাবদ্ধ নয়—

প্রতি বছর অসংখ্য পেটেন্ট , নতুন প্রযুক্তি নতুন ওষুধ স্টার্টআপ তৈরির মাধ্যমে বাস্তব জীবনে প্রভাব ফেলে

বড় বড় শিল্প ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ডের গবেষকদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী থাকে।

৫. ঐতিহ্য, ইতিহাস ও মর্যাদা (Reputation & Legacy)

অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি (প্রায় ১,০০০ বছরের পুরোনো)।
এই দীর্ঘ সময়জুড়ে এখান থেকে—

  • প্রধানমন্ত্রী, নোবেল বিজয়ী, শীর্ষ গবেষক, বিশ্বনেতা, লেখক, চিন্তাবিদ- বেরিয়ে গেছে, যা এর বৈশ্বিক সুনামকে আরও শক্তিশালী করেছে।

কেন “বিশ্বের সেরা” বলা কঠিন?

কারণ—

  • প্রত্যেকটি র‍্যাঙ্কিং সিস্টেম আলাদা মানদণ্ড ব্যবহার করে

  • ছাত্রের ব্যক্তিগত চাহিদা ভিন্ন হতে পারে

  • এক দেশে যে বিষয়ে সুযোগ বেশি, অন্য দেশে সেই বিষয়ের উন্নতি কম

তাই নিজের বিষয়, লক্ষ্য, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, স্কলারশিপ, আর্থিক অবস্থা—এসব বিবেচনা করেই “সেরা বিশ্ববিদ্যালয়” নির্বাচন করা উচিত।

মন্তব্য করুন

ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, পুনর্মূল্যায়নের ইঙ্গিত ছাত্রদল প্রার্থীর

আবিদুল ইসলাম খান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পরাজিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচনের সময় ছাত্রদল রাষ্ট্রের স্বার্থে ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “ভোটার ও প্রার্থীদের অভিযোগের যথাযথ জবাবদিহি করতে যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয়, তবে ডাকসু নির্বাচন পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ থেকেই যায়।

” শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে “মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন” বিষয়ে আয়োজিত তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা শীর্ষক সংলাপের তৃতীয় অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আবিদ জানান, খুব শিগগিরই ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানানো হবে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এখনও আলোচনা হয়।

এবারকার নির্বাচনও সদ্য শেষ হয়েছে, যেখানে নানা অভিযোগ উঠেছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এসব অভিযোগের জবাবদিহি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আমরা পূর্বের মতো সংঘাতের পথে হাঁটিনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করিনি। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি। নতুন বাংলাদেশের নতুন ছাত্ররাজনীতির প্রচলনে ভূমিকা রাখতে চেয়েছি। ভোটে নানা অনিয়মের ফাঁদ পাতা হয়েছিল, সেখানে আমাকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।” ভিপি পদে হারের বিষয়ে আবিদুল ইসলাম বলেন, “এটিকে আমরা সরলভাবে পরাজয় বলতে চাই না। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অদৃশ্য রাজনৈতিক শক্তি প্রভাব বিস্তার করছে।”

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হন সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হন ফরহাদ হোসেন। তারা দুজনই ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন। ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে।

মন্তব্য করুন

ভারতের বিরুদ্ধে খেলছে ১৮ কোটি মানুষ: ভিপি সাদিক

ভারতের বিরুদ্ধে শুধু ১১ জন না, ১৮ কোটি মানুষ খেলছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি আবু সাদিক কায়েম।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাবি মহসিন হলের মাঠে বাংলাদেশ বনাম ভারতের ম্যাচ দেখতে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সাদিক বলেন, আমরা এতদিন ভারতের আধিপত্যের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে সে আধিপত্য ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা বিশ্বাস করি আজকে জিতব।

তিনি বলেন, আজকে শুধু মাত্র ভারতের বিরুদ্ধে ১১ জন খেলছে না, খেলছে ১৮ কোটি মানুষ।

মন্তব্য করুন
×