আলোচিত

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের তদন্ত শুরু

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) আওতাধীন স্কুল ও কলেজের একতলা ভবন নির্মাণের কাজ নির্ধারিত ৯ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক ভবনের কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। অথচ বরাদ্দ অর্থের ৯০ শতাংশই ঠিকাদারদের দেওয়া হয়েছে, আর কাজের মানও খুব নিম্নমানের। অনেক প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। 이에 শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ গত ২৩ অক্টোবর ইইডির প্রধান প্রকৌশলীকে পাঁচ প্রকৌশলী ও ১১ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ নভেম্বর ইইডি আদেশ জারি করে। ১৭ নভেম্বর ওই পাঁচ প্রকৌশলী ও ১১ ঠিকাদার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নির্দেশিত হয়েছেন। অনিয়মের অভিযোগে থাকা প্রকৌশলীদের মধ্যে রয়েছেন: তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-২ মো. আসাদুজ্জামান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পিআরএল) মীর মুয়াজ্জেম হোসেন নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমান ঢাকা মেট্রোর উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামান উপসহকারী প্রকৌশলী জামিল হোসেন একাধিক সূত্রের দাবি, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা ও ওএসডি প্রকৌশলী রায়হান বাদশার সঙ্গে আসাদুজ্জামান ও জরজিসুরের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে তাদের স্বপদে থাকা অবস্থায় তদন্ত কার্যক্রমের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। নবনিযুক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. তারেক আনোয়ার জাহেদী সাংবাদিককে জানান, “মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটি কাজ করছে।” নাটোর জেলার একাধিক স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিলমারিয়া দাখিল মাদরাসার কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২১ সালের ২২ জুন। ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাজের মাত্র ৩০ শতাংশ বাকি থাকলেও ঠিকাদারকে ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন, ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না। একাধিক ঠিকাদারের অভিযোগ, ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে ‘লাইসেন্স বাণিজ্য’ চলছে। দিনাজপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলমের প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ দেশে একাধিক জেলায় একচেটিয়া কাজ পাচ্ছে এবং লাইসেন্স ভাড়া বাবদ অর্থ রাজনৈতিক ফান্ডে যাচ্ছে। এর সঙ্গে প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান যুক্ত। অভিযোগে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ প্রকৌশলী জরজিসুর রহমানকে অভিজ্ঞতা, বিভাগ বা মেধাক্রম ছাড়াই যান্ত্রিক নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। নাটোরের কয়েকটি স্কুল ও কলেজের নির্মাণে অসংখ্য কোটি টাকা বিল পরিশোধ হলেও কাজ শেষ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার ও প্রকৌশলী মিলিত হয়ে বিল ভাগ-বাটোয়ারা করেছেন। তদন্ত কমিটি সোমবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবে।

Education Bangla নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
‘শিক্ষার্থীদের শুধু ধর্মীয় জ্ঞানে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না’ — মাদ্রাসা বোর্ড চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা নূরুল হক বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষা আর অবহেলিত থাকবে না। আধুনিক যুগের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন কাঠামো ও দৃষ্টিভঙ্গিতে এগিয়ে নেওয়া হবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) মানিকগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজিত বর্ণাঢ্য রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চেয়ারম্যান আরও বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের শুধু ধর্মীয় জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। প্রযুক্তি, দক্ষতা, মানবিকতা এবং নেতৃত্বগুণের বিকাশ ঘটিয়ে তাদের আধুনিক শিক্ষার মূলধারায় এগিয়ে নিতে হবে। সরকারও মাদ্রাসা শিক্ষাকে সমান গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। রিইউনিয়ন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সরকার মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. ওবায়দুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্মতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু সায়েম এবং ইবনে সিনা হাসপাতালের ডিজিএম মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে নূর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মানিকগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা সালাহ উদ্দিন, মাওলানা সামসুদ্দিন এবং প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মান্নান। রিইউনিয়নকে ঘিরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও সম্মাননা প্রদান।

Education Bangla নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ
‘জিয়াউর রহমানের ওপর বিশ্বজুড়ে গবেষণা হয়’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমন এক রাষ্ট্রনায়ক, যার ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা চলছে। কারণ, তিনি স্বাধীনতার পর একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের যে মৌলিক ভিত্তি প্রয়োজন, তা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সম্প্রতি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জিয়া পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উপাচার্য বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীন দেশের প্রশাসন, সামরিক বাহিনী ও রাজনীতির মধ্যে একটি কার্যকর ভারসাম্য গড়ে তুলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে ‘উৎপাদনের রাজনীতি’ চালু করেন এবং মানুষকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করেন। এর মাধ্যমে জাতিকে আত্মপরিচয়ের শক্তিতে দৃঢ় করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যান। তিনি এই দেশে সকলের জন্য কথা বলা ও রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন, যার সুফল আমরা আজও পাচ্ছি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আহমেদ শিশিম, গাজীপুর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মো. ইয়াকুব মিয়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর সরকার।

Education Bangla নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আবারও নিশ্চিত করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন সময়মতো, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। গত ১৬ বছরের স্বৈরতন্ত্রে টানা তিনটি নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার কার্যকর হয়নি। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যক্রম স্থগিত থাকায় এবং পরে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিল (স্থগিত) করায় আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়। বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন, অবৈধ অভিবাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা সংকট এবং বিমান ও নৌ খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়গুলো নিয়ে কথোপকথন হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্যে লাখো মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশে একটি নতুন সূচনা করেছে। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যান প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে চলমান সংলাপ ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাঁর সরকার নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বৈধ পথে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুই নেতা মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন। মুহাম্মদ ইউনূস জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তরুণরা আশা হারিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন, তাই তাদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বঙ্গোপসাগরে গবেষণার জন্য যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা জাহাজ কিনছে বাংলাদেশ। ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যান উড়োজাহাজ যোগাযোগ আরও জোরদারের আহ্বান জানান এবং জানান, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনের প্রধান শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুক।

Education Bangla নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জকসু নির্বাচন সামনে রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ বছর ডিসেম্বর মাসে নির্ধারিত শীতকালীন ছুটি জানুয়ারি মাসে স্থানান্তর করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম জানান, যেসব বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হবে, তাদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী ১৩ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। উপাচার্য বলেন, “আগামী ২২ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই একাডেমিক ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানদের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকা নিয়ে অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী— ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি: ৯ ও ১১ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: ১২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ: ১৩–১৭ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিল: ১৭–১৮ নভেম্বর মনোনয়ন বাছাই: ১৯–২০ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর আপত্তি নিষ্পত্তি: ২৪–২৬ নভেম্বর ডোপ টেস্ট: ২৭ ও ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা: ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার: ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর প্রচারণা চলবে: ৯–১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফল ঘোষণা: ২২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশা, এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে এবং জকসু নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে।

Education Bangla নভেম্বর ১১, ২০২৫ 0
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার পদ্ধতিতে পরিবর্তন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি কোর্সের মোট নম্বরের ৮০ শতাংশ ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নের ধরন ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের পদ্ধতিতে পরিবর্তন কার্যকর হবে। প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়ন কাঠামো নতুন কাঠামো অনুযায়ী— চার ক্রেডিট কোর্সে: ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টির উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা। তিন ক্রেডিট কোর্সে: ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টির উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। দুই ক্রেডিট কোর্সে: ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টির উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা। প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের ধরন প্রতিটি তত্ত্বীয় কোর্সের মোট নম্বরের ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত থাকবে। চার ক্রেডিট কোর্সে: অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজ ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতি ৫ নম্বর, এবং ইন-কোর্স পরীক্ষায় (দুটি ইন-কোর্সের গড়) ১০ নম্বরসহ মোট ২০। তিন ক্রেডিট কোর্সে: অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজ ৪ নম্বর, উপস্থিতি ৩ নম্বর, ইন-কোর্স ৮ নম্বরসহ মোট ১৫। দুই ক্রেডিট কোর্সে: অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজ ৩ নম্বর, উপস্থিতি ২ নম্বর, ইন-কোর্স ৫ নম্বরসহ মোট ১০। ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন ব্যবহারিক কোর্সগুলোর মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী সম্পন্ন হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।নতুন এ পদ্ধতি কার্যকর হলে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিয়মিত অংশগ্রহণের গুরুত্ব আরও বাড়বে বলে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন।

Education Bangla নভেম্বর ১১, ২০২৫ 0
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার

উপদেষ্টা পরিষদের সভার অনুমোদনের পর ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। রোববার (৯ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী বছর সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে মোট ২৮ দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ১১ দিন সাপ্তাহিক ছুটি—অর্থাৎ শুক্র ও শনিবারের সঙ্গে মিলে গেছে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও পবিত্র ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আজহায় ৬ দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ২ দিন ছুটি থাকবে। গত ৬ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৬ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী বছরের জন্য সাধারণ ছুটি ১৪ দিন এবং নির্বাহী আদেশে ছুটি ১৪ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সাধারণ ছুটির মধ্যে ৭ দিন ও নির্বাহী আদেশে ঘোষিত ছুটির মধ্যে ৪ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে পড়েছে। সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২০ মার্চ জুমাতুল বিদা, ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস ও বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ২৮ মে ঈদুল আজহা, ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস, ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)। নির্বাহী আদেশে ছুটি হিসেবে থাকছে ৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ১৭ মার্চ শবে কদর, ১৯ ও ২০ মার্চ ঈদুল ফিতরের আগে এবং ২২ ও ২৩ মার্চ পরে দুই দিন করে মোট চার দিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ২৬ ও ২৭ মে ঈদুল আজহার আগে এবং ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পরে তিন দিনসহ মোট পাঁচ দিন, ২৬ জুন আশুরা এবং ২০ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমীর দিন। ঐচ্ছিক ছুটির তালিকায় মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রয়েছে ১৭ জানুয়ারি শবে মিরাজ, ২৪ মার্চ ঈদুল ফিতরের পরের তৃতীয় দিন, ১ জুন ঈদুল আজহার পরের চতুর্থ দিন, ১২ আগস্ট আখেরি চাহার সোম্বা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে থাকছে ২৩ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১৫ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রী ব্রত, ৩ মার্চ দোলযাত্রা, ১৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ১০ অক্টোবর মহালয়া, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী), ২৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৮ নভেম্বর শ্যামাপূজা। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ২ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল পূণ্য শুক্রবার, ৪ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ৫ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর বড়দিনের আগে ও পরের দিন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলো হলো ১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া দেশের অন্যত্র প্রযোজ্য), ৩০ এপ্রিল ও ২ মে বুদ্ধপূর্ণিমার আগে ও পরের দিন, ২৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ২৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য সামাজিক উৎসবের দিন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একজন সরকারি কর্মচারী তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। বছরের শুরুতেই এ ছুটি ভোগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ, নির্বাহী আদেশ বা সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে। এছাড়া যেসব অফিস বা সংস্থার সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন বা বিধিমালার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত, কিংবা যেগুলোকে অত্যাবশ্যক সেবা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে—সেগুলো জনস্বার্থ বিবেচনায় নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী ছুটি ঘোষণা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রজ্ঞাপন (৯ নভেম্বর ২০২৫)

Education Bangla নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ফল খারাপ হলেও প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হয়েছে

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে পাসের হার কমলেও “প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হয়েছে” বলে মন্তব্য করেছেন রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সরকার চেয়েছে যেন এবার প্রকৃত মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়। তাই প্রশ্নপত্রের ধরন ও খাতা মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে সামগ্রিক ফলাফল কিছুটা কম হলেও মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রশ্নের ধরন হঠাৎ পরিবর্তন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আগে থেকে জানালে তারা আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারতো।” অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের কলেজের ফলাফল সন্তোষজনক। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। ভিকারুননিসা স্কুল ওরিয়েন্টেড কলেজ—এখানে লটারির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের আমরা তৈরি করেছি। মেধার তারতম্য থাকতেই পারে, সবাই সমান মেধাবী নয়।” ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ বছর এইচএসসিতে অংশ নেয় ২,৫১৪ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২,৪৯৫ জন এবং পাস করেছে ২,৪৩৪ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অকৃতকার্য হয়েছে ৮০ জন শিক্ষার্থী। বিভাগভিত্তিক ফলাফল অনুযায়ী— বিজ্ঞান বিভাগে: পাস করেছে ১,৮০৭ জন, ফেল ৬০ জন, জিপিএ–৫ পেয়েছে ৭৯৭ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে: পাস ৩১৬ জন, ফেল ১১ জন, জিপিএ–৫ পেয়েছে ১০৫ জন। মানবিক বিভাগে: পাস ৩১১ জন, ফেল ৯ জন, জিপিএ–৫ পেয়েছে ৮৪ জন। তিন বিভাগে মোট জিপিএ–৫ পেয়েছে ৯৮৬ জন শিক্ষার্থী। অধ্যক্ষের ভাষায়, “এবারের ফলাফল হয়তো আগের মতো ঝলমলে নয়, কিন্তু এটি বাস্তব ও সৎ মূল্যায়নের প্রতিফলন।”  

Education Bangla অক্টোবর ১৭, ২০২৫ 0
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়: ৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার পেছনের কারণ ও বিশ্লেষণ

২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৮.৮৩ শতাংশ। এই ফল গত ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলস্বরূপ, মোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এই ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফেল করা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, পরীক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং কোভিড-পরবর্তী শিখন-ঘাটতির গভীর বাস্তবতাকে উন্মোচন করেছে। শিক্ষা উপদেষ্টা এটিকে 'অস্বস্তিকর হলেও বাস্তবভিত্তিক' আখ্যা দিয়ে দীর্ঘদিনের 'শেখায় সংকট' ও 'ন্যায্য মূল্যায়নের' ওপর জোর দিয়েছেন। ১. অকৃতকার্যতার পরিসংখ্যানগত চিত্র ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি একটি alarm bell: সূচক সংখ্যা / হার মোট পরীক্ষার্থী ১২,৩৫,৬৬১ জন মোট উত্তীর্ণ ৭,২৬,৯৬০ জন মোট অকৃতকার্য ৫,০৮,৭০১ জন পাসের হার ৫৮.৮৩% অকৃতকার্যের হার প্রায় ৪১.১৭% জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৬৯,০৯৭ জন   বিশাল ব্যবধান: গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রায় ১৮.৯৫ শতাংশ পয়েন্ট। এর অর্থ, ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পরীক্ষার্থী এবার ফেল করেছে। জিপিএ-৫ এ ধস: জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন, যা নির্দেশ করে শুধু পাসের হার নয়, মানসম্মত ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পতন ঘটেছে। ২. ফল বিপর্যয়ের মূল কারণসমূহ: শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টিতে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার এই ফলাফলকে 'বাস্তবতার প্রতিফলন' হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে নিম্নলিখিত কারণগুলো সরাসরি দায়ী: ক. 'ন্যায্য মূল্যায়নে' ফিরে আসা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নে 'নম্বর বাড়িয়ে দেখানোর' একটি প্রবণতা ছিল। শিক্ষা উপদেষ্টা এইবার সেই 'অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে সন্তুষ্টি'র সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে **'ন্যায্য নম্বর দিয়ে সততা'**কে বেছে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর ফলে: গ্রেস মার্কস বন্ধ: ধারণা করা হচ্ছে, পাস নম্বর (৩৩) থেকে সামান্য কম পাওয়া শিক্ষার্থীদের যে গ্রেস মার্কস দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়ার অলিখিত প্রবণতা ছিল, এবার তা কঠোরভাবে বন্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষকের কঠোরতা: খাতা দেখার ক্ষেত্রে পরীক্ষকদের বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়, যার ফলে সামান্য ঘাটতি বা ত্রুটির কারণেও শিক্ষার্থীরা অনুত্তীর্ণ হয়েছে। খ. দীর্ঘদিনের 'শেখার সংকট' শিক্ষা উপদেষ্টার মতে, এই ফল বিপর্যয় রাতারাতি তৈরি হয়নি। এটি প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু হওয়া 'শেখার ঘাটতি'-র চূড়ান্ত প্রতিফলন। শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর ধরে যথাযথ ভিত্তিমূলক শিক্ষা না পেয়ে উচ্চশিক্ষা স্তরে আসায়, পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস ও স্বাভাবিক মূল্যায়নের মুখোমুখি হয়ে তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গ. কোভিড-পরবর্তী 'স্বাভাবিক' পরীক্ষা পদ্ধতি ২০২৫ সালের পরীক্ষার্থীরাই প্রথম ব্যাচ, যারা কোভিড-১৯ মহামারীর অস্বাভাবিকতা কাটিয়ে পূর্ণ নম্বর, পূর্ণ সময় এবং সম্পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়েছে। ২০২০ (অটোপাস): এই পরীক্ষার্থীরা যখন দশম শ্রেণিতে ছিল, তখন তারা অটোপাস পেয়েছিল। ২০২১-২০২২ (সংক্ষিপ্ত সিলেবাস): একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতেও তারা পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ শিক্ষা ও পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পড়ার সুযোগ পায়নি। শিখন-ঘাটতি: স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত থাকার কারণে তাদের শিখন-ঘাটতি (Learning Gap) ছিল বিশাল, যা পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষায় স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। ঘ. বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ ইংরেজি, গণিত এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT)-এর মতো মৌলিক বিষয়গুলোতে দুর্বল ছিল। এ সকল বিষয়ে ফেল করার কারণে সামগ্রিক পাসের হার হ্রাস পেয়েছে। ৩. বোর্ডভিত্তিক তারতম্য ও শিক্ষার বৈষম্য ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন বোর্ডের পাসের হারেও বিশাল তারতম্য রয়েছে: ঢাকা বোর্ড: ৬৪.৬২% (অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় এগিয়ে) কুমিল্লা বোর্ড: ৪৮.৮৬% (সবচেয়ে কম পাসের হার) মাদরাসা বোর্ড: ৭৫.৬১% (সাধারণ বোর্ডগুলোর তুলনায় এগিয়ে) কুমিল্লা বোর্ড ও যশোর বোর্ডের মতো অনেক অঞ্চলে পাসের হার ৫০ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এই তারতম্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান, শিক্ষকের সক্ষমতা, গ্রামীণ ও শহর অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সুযোগের বৈষম্য এবং বোর্ডের প্রশ্ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতির ভিন্নতার দিকে ইঙ্গিত করে।  

Education Bangla অক্টোবর ১৭, ২০২৫ 0
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ কমেছে প্রায় ৭৭ হাজার

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার সারাদেশে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ কম। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের ৯টি সাধারণ, কারিগরি ও মাদরাসা—মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারছেন। এ বছর মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন, আর ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন। ফলে পাসের হার হয়েছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আর ফেলের হার ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ বছর সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসেবে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। ফলাফলে এবারও সব দিক থেকে এগিয়ে ছাত্রীদের পারফরম্যান্স। মোট পাস করা শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন এবং ছাত্র ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রীদের গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। একইভাবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা। মোট ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ জন এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন। 🔸 সামগ্রিকভাবে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে নিম্নমুখী হলেও, ছাত্রীদের সাফল্য এখনো আশাব্যঞ্জক।  

Education Bangla অক্টোবর ১৬, ২০২৫ 0
শিক্ষা অধিপ্তরের ছবি ও লোগো
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ৭ অক্টোবর পর্যন্তই, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত নয় : মাউশি

দুর্গাপূজা, বিজয়া দশমী, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, প্রবারণা পূর্ণিমা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ৭ অক্টোবর পর্যন্তই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১২ দিনের অবকাশকালীন ছুটি অনুমোদনের কথা উল্লেখ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। প্রজ্ঞাপনে এ সময়ের মধ্যে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ না করার নির্দেশ থাকলেও ছুটি কোন স্তরের প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য, তা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। মাউশির মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক মো. ইউনুছ ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেন, “ছুটি শুরু হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এবং তা ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ৮ অক্টোবর থেকে নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে। শুধু ৮ ও ৯ অক্টোবর পরীক্ষাবিহীন দিন হিসেবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “কিছু প্রতিষ্ঠান ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে, যা সম্পূর্ণ ভুল। মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাবিহীন দুদিন রাখা, ছুটি বাড়ানো নয়।” এ কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠান ভুল বুঝতে পেরে ৮ অক্টোবর থেকে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা বা জেলা শিক্ষা অফিসের কোনো নির্দেশনার প্রয়োজন নেই; প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। বিভ্রান্ত হলে সরাসরি মাউশির সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।

এডুকেশন বাংলা অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রস্তাবে অনুমোদন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের হাতে

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বহুল প্রত্যাশিত বাড়ি ভাড়া ভাতার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। জানা গেছে, আগামী রোববার এ প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দাবি করে আসছেন। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে এ দাবি কার্যকর না হলে ১২ অক্টোবর থেকে লাগাতার আন্দোলনে নামার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাড়ি ভাড়ার প্রস্তাবটি চারটি ভিন্ন হার—৫, ১০, ১৫ এবং ২০ শতাংশ আকারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। শিক্ষা উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তবে শেষ সিদ্ধান্ত দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়; তারা যে হারে সম্মতি দেবে, সে অনুযায়ী বাড়ি ভাতা পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর আগে গত ১৩ আগস্ট জাতীয়করণ প্রত্যাশী এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান জোটের মহাসমাবেশে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব তোলা হয়। সেই দাবিরই এখন আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।

Education Bangla অক্টোবর ১৬, ২০২৫ 0
সৰ্বাধিক পঠিত
শিক্ষাপঞ্জিতে ভিন্নতা—পূজার ছুটিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে টানা বারো দিন, মাদরাসা-কারিগরিতে মাত্র চার দিন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে ছুটির দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পূজার আমেজ শুরু হচ্ছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই। কারণ ওই দুই দিন (২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক বন্ধের পর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পূজার ছুটি কার্যকর হবে। একটানা ছুটি কাটিয়ে ৭ অক্টোবরের পর আবার নতুন উদ্যমে শুরু হবে ক্লাস। একইভাবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতেও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা বারো দিনের ছুটি মিলবে। ৮ অক্টোবর থেকে আবার গরমিল ছাড়া ক্লাস চলবে যথারীতি। অন্যদিকে, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা ভিন্ন। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্গাপূজার জন্য ছুটি থাকবে মাত্র দুই দিন—১ ও ২ অক্টোবর। তবে এর সঙ্গে যোগ হবে ৩ ও ৪ অক্টোবরের সাপ্তাহিক বন্ধ। ফলে মোট ছুটি দাঁড়াবে চার দিনে। ৫ অক্টোবর থেকে পুরোদমে আবার চলবে পাঠদান। 👉 প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছুটি দীর্ঘায়িত হলেও মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুলনামূলকভাবে সীমিত এই ছুটির মেয়াদ শিক্ষার্থীদের পাঠচর্চার ধারাবাহিকতায় রাখবে এক ধাপ এগিয়ে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পরিপত্র স্থগিত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর) চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং ১ ডিসেম্বর থেকে সব অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত করার যে পরিপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারি করেছিল, তার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্রটি জারি করা হয়। ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। আইনজীবীদের তথ্যমতে, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা–২০২৪ এ চলতি বছরের ২৮ ও ৩১ আগস্ট সংশোধনী আনে ঢাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। সংশোধনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত ১৩(১) বিধি এবং যোগ্যতাসংক্রান্ত ৬৪(৩) বিধি পরিবর্তন করা হয়। এই দুই বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এমরান হোসেনসহ চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গত রোববার রিট আবেদন করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী। পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দেশের নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বোর্ডগুলো ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনাসংক্রান্ত প্রবিধানমালায় সংশোধন আনে, যেখানে বলা হয়েছে— সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নবম গ্রেডের নিচে নন এমন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত হলে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে পারবেন। অর্থাৎ বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শুধুমাত্র সরকারি বা আধা সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। আগে যেখানে সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে হতেন, সেখানে এখন এই যোগ্যতাসীমা আরোপ করা হয়েছে— যা আবেদনকারীদের মতে বৈষম্যমূলক। রিটে আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। হাইকোর্ট রুল জারি করে ৮ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। ফলে বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাডহক কমিটি আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।  

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় গ্রুপের ফল প্রকাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর ৩য় গ্রুপের ( ০৩ টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৩,০৫৭ (তেইশ হাজার সাতান্ন) জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।  মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

সরকারি কর্মকর্তার একচ্ছত্র বিধান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট

বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোনয়ন দেওয়ার বিধান সংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন যে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে কেবল সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মনোনয়নের এই বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। আদেশের দিন ও বেঞ্চ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটের কারণ ও আইনজীবীর বক্তব্য বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের এই বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট মোকছেদুর রহমান আবির রিটটি দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধান বৈষম্যমূলক। এই যুক্তিতেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। প্রজ্ঞাপনের মূল বিষয়বস্তু গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। এই পদে নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত কিংবা পঞ্চম গ্রেড বা তার ওপরের পদে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এছাড়া, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতি হতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির জানান, বিদ্যমান নিয়মে সামান্য সংশোধন এনে শুধু সভাপতি পদটির জন্য এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল।

মাত্র ২ মাসে শ্রমিক মজুরি বাবদ ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়, টেন্ডার ছাড়াই 'স্পট কোটেশন'!

ঢাকা: মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে উন্নয়নমূলক কাজের নামে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ও মজুরি খাতে ৩,১৮,৮৯,০৫৪/- (তিন কোটি আঠারো লক্ষ ঊননব্বই হাজার চুয়ান্ন) টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এই বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (PPR) সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মজুরি, টেন্ডার নেই তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২0২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (প্রায় দুই মাস) এডহক কমিটির নির্দেশে ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়। এই কাজের মধ্যে নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ব্যবহৃত শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয়িত অর্থের হিসাব নিম্নরূপ: কাজের বিবরণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যয়িত টাকার পরিমাণ রং করা (লেবার) বান্না এন্টারপ্রাইজ ১,৩০,৯২,৯৭৭/- রাজমিস্ত্রী, কাঠ, সেনিটারী (লেবার) মেসার্স শিলা এন্টারপ্রাইজ ৬১,২০,৪৬০/- টাইলস, মোজাইক ও ইলেকট্রিক (লেবার) তানভীর এন্টারপ্রাইজ ১৩,৭৭,৪৭৪/- গ্রীল, অভিভাবক সেড (লেবার) মেসার্স মোল্লা ওয়েল্ড ১২,৪৮,১৪৩/- মোট শ্রমিক মজুরি ব্যয়   ৩,১৮,৮৯,০৫৪/- (এছাড়া মালামাল ক্রয় বাবদ আরও ১,২৩,৭৪,৪৩৭/- টাকা নগদে ব্যয় করা হয়)। বিধি লঙ্ঘন করে স্পট কোটেশন তদন্তে ডিআইএ নিশ্চিত করেছে যে, এই বিশাল অঙ্কের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার দরপত্র বা টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। পিপিআর-এর লঙ্ঘন: পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (PPR) অনুযায়ী, ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকার অধিক মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান করতে হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার: কিন্তু মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ লক্ষ টাকার সীমা অতিক্রম করে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা ব্যয় করেছে 'স্পট কোটেশনের' মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে কাজ দেওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক দর নিশ্চিত হয়নি, যা আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের পথ সুগম করেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়। বাতিল কমিটি দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদন আরও জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নতুন এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ (১৮/১১/২০২৪) জারির পরও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আখলাক আহম্মেদ পূর্বের (বাতিলকৃত) এডহক কমিটির মাধ্যমেই কার্যক্রম চালিয়ে যান। বাতিল কমিটির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের এই উন্নয়ন কাজ করানো হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করার শামিল। রাজস্ব ফাঁকি উন্নয়ন কাজের জন্য ঠিকাদারদের পরিশোধিত ৩,১২,১৮,০০০/- টাকার ওপর ধার্যকৃত ভ্যাট ও আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি। শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয়িত বিপুল অঙ্কের অর্থের ওপরও এই রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। সরকারি কোষাগারে ফেরতযোগ্য মোট ৩৮,০২,২৫০/- (আটত্রিশ লক্ষ দুই হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা অবিলম্বে জমা দেওয়ার জন্য প্রতিবেদনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত এই ঘটনা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে একটি বাতিল কমিটি মাত্র দুই মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা টেন্ডার ছাড়াই মজুরি খাতে ব্যয় করে সরকারি বিধিমালাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে।  ( দ্বিতীয় পর্ব আসছে শিগগিরই, কারা কারা এই লুটপাটে জড়িত তাদেরও পরিচয় তুলে ধরা হবে )  

Top week

মাদ্রাসা

নীতিমালার জটিলতায় এমপিওভুক্তি থেকে বাদ ৬০৯ মাদ্রাসা, শিক্ষকদের হতাশা বেড়েছে

Education Bangla নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

অনলাইন জরিপ

আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন দল। আপনি কি মনে করেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকারে ব্যবস্থা করা উচিৎ?

×